ছেলের জঙ্গি-সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন জামায়াতের আমির: সিটিটিসি
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট দাবি করেছে, গ্রেপ্তারকৃত জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান শুরু থেকেই 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া' জঙ্গিগোষ্ঠীর সাথে তার ছেলের সম্পৃক্ততার কথা জানতেন। রিমান্ডে এ কথা ডা. শফিকুর স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
এসময় তিনি বলেন, ডা. শফিকুর জানতেন তার ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে, কিন্তু সেটা পুলিশকে জানাননি।
আসাদুজ্জামান বলেন, 'তিনি এসব বিষয়ে জানতেন, সেকথা রিমান্ডে স্বীকারও করেছেন। সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে জেনেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত না করাও অপরাধ'।
তবে জামায়াতের আমিরের সাথে জঙ্গিগোষ্ঠী শারক্বীয়ার সম্পৃক্ততার কোনো সূত্র পায়নি সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটটি।
গত ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরার আবাসিক এলাকার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানকে। এরপর যাত্রাবাড়ি থানায় দায়ের করা এক সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তার ছেলে রাফাত সাদিককে। তাকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তখন জানানো হয়, তিনি নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'র সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক। এই ঘটনায় করা মামলায় গত ১৩ ডিসেম্বর রিমান্ডে নেয়া হয় জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানকে। সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আবার তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।