টিবিএসের সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের উদ্বেগ
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানাধীন প্রায় ১২০টি অবৈধ পরিবেশ বিধ্বংসী ইট ভাটা নিয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রস্তুতকালে দ্য বিজনেজ স্ট্যান্ডার্ড -এর সাংবাদিক আবু আজাদের ওপর হামলা, অস্ত্রের মুখে অপহরণ, বেআইনি আটক, হত্যা প্রচেষ্টার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন– বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ)।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সংগঠনের চেয়ারপার্সন ও প্রধান নির্বাহী এডভোকেট এলিনা খান, মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্সান, মানবাধিকার আইনবিদ এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, এডভোকেট এএইচএম জসীম উদ্দিন, এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, এডভোকেট ফজলুল বারী, এডভোকেট মোহাম্মদুন্নবী শিমুল, এডভোকেট মীর ইকরাম উদ্দীন আলমগীর, এডভোকেট প্রদীপ আইচ (দীপু), এডভোকেট আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, এডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাইল গণি, এডভোকেট এ এইচ এম জসীম উদ্দীন, এডভোকেট খুশনুদ রাইসা উশিকা, এডভোকেট নুরুল আলম চৌধুরী, এডভোকেট মোহাম্মদ আলীসহ ১০১ আইনবিদ এক যৌথ বিবৃতিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাকে মানবাধিকার, সংবিধান, বাক-স্বাধীনতা ও মানবাধিকার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন ।
আইনজীবীরা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তা রাষ্ট্র ও প্রশাসনকেই সহায়তা করে। অবৈধ ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়া গণশত্রুদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা ।
এ ব্যাপারে সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্লিপ্ততা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিক নিপীড়নের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। তারা নির্যাতিত সাংবাদিককে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা করার অঙ্গীকার করেন।
এদিকে এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইট ভাটার তথ্য সংগ্রহের সময় ইউপি সদস্য মহিউদ্দীন তালুকদার মোহনসহ ৫-৬ জন পিস্তল ঠেকিয়ে সাংবাদিক আবু আজাদকে মারধর করে। অস্ত্রের মুখে তাকে গাড়িতে তুলে স্থানীয় মঘাছড়ি বাজারে নিয়েও কয়েক দফা পেটানো হয়। এরপর আবু আজাদকে মোহনের কার্যালয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়। এসময় তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে এবং মানিব্যাগ ও আইডি কার্ড- সব কেড়ে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
গত সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) আবু আজাদকে হত্যাচেষ্টা, মারধরের অভিযোগে ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী, ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলো– ইট ভাটার ম্যানেজার কামরান মোহনের সহযোগী কাঞ্চন তুড়িসহ অজ্ঞাত আরো ৫-৭ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী।