ঢাকায় ই-টিকেটিং চালু করছে আরও ১৫ বাস কোম্পানি
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) থেকে মোহাম্মদপুর-আজিমপুর, গাবতলী রুটে আরও ১৫টি কোম্পানির বাসে ই-টিকেটিং চালু হতে যাচ্ছে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বাস মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ জানান, এসব রুটে ১৫টি কোম্পানির ৭১১টি বাস রয়েছে, যেগুলো ই-টিকেটিং-এর আওতায় আনা হবে।
পরিবহন কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মেসার্স ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ, স্বাধীন লাইন পরিবহন, দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, মালঞ্চ পরিবহন লিমিটেড, তারাঙ্গা প্লাস ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, আলিফ এন্টারপ্রাইজ (১), আলিফ এন্টারপ্রাইজ (২), অভিনন্দন ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, বিকাশ পরিবহন লিমিটেড, গাবতলী এক্সপ্রেস লিমিটেড, মেঘলা ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড, ভিআইপি অটোমোবাইলস লিমিটেড, রমজান আলী এন্টারপ্রাইজ, মিডলাইন পরিবহন লিমিটেড এবং স্বপ্ন পরিবহন লিমিটেড।
এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে মিরপুর রুটে ৩০টি কোম্পানির বাসে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করা হয়।
যাত্রীদের ঝামেলা কমাতে এবং ন্যায্য মূল্যে টিকিট বিক্রি নিশ্চিত করতে স্টেকহোল্ডাররা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
গণপরিবহন মালিকদের সম্প্রতি পরীক্ষামূলক এই ই-টিকেটিং ব্যবস্থার প্রশংসা করছেন যাত্রীরা।
বর্তমানে রাজধানীতে বাস সার্ভিস দিচ্ছে প্রায় ৬০টি পরিবহন কোম্পানি। আরও ৩৭টি কোম্পানি পরিষেবা দিচ্ছে শহরতলিতে।
এই ৯৭টি কোম্পানির ৫ হাজার ৬৫০টি বাস পরিষেবা দিচ্ছে যাত্রীদের। ডিজিটাল টিকিটিং ব্যবস্থা চালু হওয়ায়, এই বাসগুলোর চালকরা এখন আর ওয়েবিল সিস্টেমে বা নগদ টাকা নিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন না।
একই রুটে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধের লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে এনায়েত বলেন, "পাবলিক বাসের চালকদের মধ্যে এটি একটি সাধারণ অভ্যাস, এর ফলে রাস্তায় অগণিত দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।"
পরিবহন মালিকরা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)-এর সহযোগিতায় গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকার আটটি বাসে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করে।