হলফনামায় ‘ভুল তথ্য’ দিয়ে নির্বাচন করলে, কমিশনের কিছু করণীয় নেই: ইসি
হলফনামায় 'ভুল তথ্য' দিলে নির্বাচন কমিশনের কিছু করণীয় নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। দুর্নীতির কিছু থাকলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেখবে বলেও তিনি জানান।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে মাদারীপুর-৩ আসনের এমপি আবদুস সোবাহান গোলাপের হলফনামায় তথ্য গোপন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।
শুক্রবার অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট তাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সংসদ সদস্য আবদুস সোবাহান গোলাপ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি কিনেছেন। বিষয়টি নির্বাচনী হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেননি।
এই বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, 'হলফনামা আমাদের একটা জমা দেবে। কিন্তু সেই হলফনামার সত্য-অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের কোনও কিছু করার আইনগত ভিত্তি নাই। হলফনামা যেটা দেবে সেটা এক ধরনের জাতিকে তথ্য জানানোর মতো দায়িত্ব।'
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'দুর্নীতিমূলক কিছু যদি থাকে দুদক দেখবে। তারা মামলা করবে। রাজস্ব কোর্ট এনবিআর মামলা করতে পারবে। পরবর্তীতে আইনে যেটা আছে সেই অনুযায়ী হবে। একজন সংসদ সদস্যের পদ হারানোর মতো যেসব বিষয় আছে সেটা যদি হয়।'
তিনি আরও বলেন, হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে নমিনেশন সাবমিটের আগে জানালে ব্যবস্থা নেবো। হলফনামা যাচাই-বাছাইয়ের আগে অভিযোগ দিলে আমরা দেখবো।
তিনি বলেন, 'উনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ভোটারদের জানিয়েছেন ওনার নাম কী, শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, কী পরিমাণ সম্পদ আছে। আমাদের এখানে কোনও শাস্তির ব্যবস্থা নাই।'
দ্বৈত নাগরিকরা সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, "তাদের বাংলাদেশ নাগরিকত্ব দেখে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বললে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।"
তিনি আরও বলেন, মিথ্যা তথ্য মানেই প্রতারণা। প্রতারণার মামলা আছে আলাদা। কোর্ট শাস্তি দিয়ে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া যথাসময়ে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'নির্বাচন যথাসময়ে হবে। প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আইন অনুযায়ী স্পিকারের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এ প্রসঙ্গে আলাপ হবে।'
আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ। সেক্ষেত্রে ২৪ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এ নির্বাচন করতে হবে।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে— (১) রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে এ পদ শূন্য হলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সবশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল হয়েছে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেবার ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ থাকলেও একক প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বরাবরের মতো ৬ ফ্রেব্রুয়ারি নির্বাচিত হন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
নির্বাচন আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের ভোটে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাতে নির্বাচনি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।