খুলনায় অব্যবহৃত পড়ে আছে কোটি কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জামাদি
খুলনার অধিকাংশ হাসপাতালে বাক্সবন্দী অবস্থায় রয়েছে চিকিৎসা সরঞ্জাম। ফলে রোগীরা কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারগুলোতে যাচ্ছেন। এতে একদিকে রোগীদের খরচ করতে হচ্ছে বাড়তি টাকা, অন্যদিকে নামমাত্র সেবা দিয়ে অর্থ লুটে নিচ্ছে বেসরকারি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি ও চিকিৎসকদের সদিচ্ছা না থাকায় সরকারি হাসপাতালে কাঙ্খিত সেবা মিলছে না। কমিশনের বাণিজ্যের প্রভাবে রোগীদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হলো শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ব্রেন টিউমার অপারেশনের জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা অপারেটিভ মাইক্রোস্কোপ অব নিউরো সার্জারি মেশিনটি এখনো ইন্সটল (স্থাপন) করা হয়নি। এছাড়া রেডিওলজি বিভাগের একটি এমআরআই মেশিন ও একটি সিটি স্ক্যান মেশিন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। হার্টের রোগীদের জন্য একটি এক্সারসাইজ টলারেন্স টেস্ট (ইটিটি) মেশিনও প্রায় দুই বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। পাশাপাশি ক্যাথল্যাব ও এনজিওগ্রাম মেশিন অকেজো রয়েছে।
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতালে আধুনিক বেশ কয়েকটি চিকিৎসা সরঞ্জামাদি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। আমরা অনেকবার এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। বড় বড় মেশিনগুলো সচল না থাকায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।'
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (খুমেক) সূত্রে জানা গেছে, সেখানকার রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের দুটি সিটি স্ক্যান মেশিনের মধ্যে একটি, একমাত্র ৩০০ এম এ এক্সরে মেশিন এবং ৬টি আল্ট্রাসোনাগ্রাফি মেশিনের মধ্যে ২টি অচল অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া রেডিওথেরাপি বিভাগের ৬ এমভির লিনিয়ার এক্সিলেটর মেশিনটি দীর্ঘ এক যুগ ধরে বাক্সবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৫ মে জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জন্য লিনিয়ার এক্সিলেটর মেশিনটি ক্রয় করা হয়েছিল। ২০১২ সালের ২৯ মে মেশিনটি সেখানে সাপ্লাই করা হয়। তবে জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কোন বাংকার না থাকায় সেই সময়ে মেশিনটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে সে সময় ৬ এমভির লিনিয়ার এক্সিলেটর মেশিনটি ধারণ করার মত বাংকার খুমেক হাসপাতালেও ছিল না। বাধ্য হয়ে মেশিনটি বাক্সবন্দি অবস্থায় হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের সামনে রাখা হয়।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর মেশিনটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান 'ভ্যারিয়েন মেডিকেল সিস্টেম' থেকে একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে জানায়, মেশিনটি খুমেক হাসপাতালে স্থাপনের জন্য ৭ কোটি টাকা দরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেই টাকা না দিয়ে মেশিনটি পুনরায় জাতীয় ক্যান্সার ইনিস্টিটিউট ও হাসপাতালে ফেরত নিতে চায়। তবে মেশিনটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট মেশিনটি নিতে কখনো সম্মতি জানায়নি। ফলে দীর্ঘদিন বাইরে থেকে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা মূল্যমানের এই মেশিনটি।
মেশিন থাকা স্বত্ত্বেও স্থাপন না হওয়ায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন খুলনাঞ্চলের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা।
খুমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি এন্ড অনকোলজি বিভাগের তথ্য মতে, ২০২২ সালে সেখানে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ১৬০০ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী।
রেডিওথেরাপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মুকিতুল হুদা বলেন, 'ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের তিন ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তা হলো- কেমো, রেডিওথেরাপি ও সার্জারি। আমাদের এখানে কেমো ও সার্জারি করা হয়। তবে আমরা রেডিওথেরাপি দিতে পারি না।'
তিনি বলেন, 'আমাদের এখানে রোগীদের রেডিওথেরাপি দেওয়ার জন্য লিনিয়ার এক্সিলেটর মেশিন দেওয়া হয়েছিল। এক যুগ ধরে বাক্সবন্দি থাকায় এখন অকেজো হয়ে গেছে। এটা দিয়ে আর কোন কাজ করা সম্ভব নয়। কিছু রোগী আছে যাদের কেমো বা সার্জারির পর টিউমার ধ্বংস করতে রেডিওথেরাপির দরকার হয়। আবার কিছু রোগীদের শুধু রেডিওথেরাপির দরকার হয়। তাদেরকে আমরা ঢাকার হাসপাতালগুলোয় রেফার করি।'
তবে রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রেডিওথেরাপি দেওয়ার জন্য খুমেক হাসপাতাল থেকে পরামর্শ দেওয়া হয় ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে যাওয়ার। এতে রোগীর দেওয়া অর্থের একটি অংশের কমিশন পান সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, 'আমাদের হাসপাতালে নতুন একটি ৬ তলা বিশিষ্ট রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের ভবন তৈরি করা হচ্ছে। ভবনটি হয়ে গেলে, পর্যাপ্ত জনবল ও যন্ত্রপাতি মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হবে। তখন হাসপাতালের রোগীদের আর বাইরে থেকে বাড়তি সেবা নিতে হবে না।'
খুলনার উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে দেওয়া হয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। তবে পর্যাপ্ত জনবল সেখানে নেই। এতে এক্সরে, আল্ট্রাসাউন্ড ও অ্যানেসথেশিয়া মেশিনের মত ভারি যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।
খুলনা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে অ্যানেসথেশিয়া মেশিন। তবে অ্যানেসথেশিওলজিস্ট না থাকায় তা কখনো ব্যবহার করা হয়নি।
আরও জানা যায়, দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যা সংখ্যা ৫০ হলেও সার্বক্ষণিক ৮০ জনের বেশি রোগী ভর্তি থাকে। কখনও শ' এর কোটাও পার হয়। সেখানে টেকনোলোজিস্ট না থাকায় ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কোন এক্সরে হচ্ছে না । ফলে বাইরে থেকে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে রোগীদের। একই অবস্থা আল্ট্রাসনো মেশিনের ক্ষেত্রে।
ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে মেশিনটি বিগত দিনে এলাকার সাধারণ রোগীদের সেবা দিয়ে আসলেও বর্তমানে তা আর চালু নেই। আল্ট্রাসনো মেশিন আছে, তবে অপারেটর নেই। একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাব আছে, কিছু কিছু পরীক্ষা হলেও প্রয়োজনীয় অনেক পরীক্ষাই হচ্ছে না সেখানে।
দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে, আল্ট্রাসাউন্ড, প্যাথলজিক্যাল যন্ত্রপাতি সবই আছে কিন্তু তালা বন্ধ রুমে বস্তায় মোড়ানো। আধুনিক অপারেশন থিয়েটার আছে কিন্তু কখনো অপারেশন হয়নি।
তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে, আল্ট্রাসাউন্ড, প্যাথলজিক্যাল যন্ত্রপাতি সবই আছে, কিন্তু বদ্ধরুমে বস্তায় মোড়ানো। দশ বছর থেকে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার আছে, কিন্তু কোনদিন কোনো অপারেশন হয়নি। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স সবই আছে, তবে সেখানকার টেকনোলোজিস্ট ও অফিস কর্মচারীদের অধিকাংশ পদই খালি।
কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিনটি গত পাঁচ বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্রটিও বিকল অবস্থায় রয়েছে কয়েক বছর।
পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নেই, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট নেই ও ওয়ার্ড বয় নেই। ইসিজি, এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনও নেই।
ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র থাকলেও তিন বছরের বেশি সময় ধরে তা অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে এক্স-রে মেশিন, আল্ট্রাসনো মেশিন এবং ল্যাবের কাজ বন্ধ থাকায় রোগীদের খুলনা শহরে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে রিপোর্ট করাতে হচ্ছে।
বটিয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেন্টাল এক্স-রে, অটোক্লাভ মেশিনসহ বিভিন্ন ধরনের ২২টি মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। এর মধ্যে ২০১২ সাল থেকে অচল হয়ে আছে সাকার মেশিন আর ২০১৪ সাল থেকে অকেজো ইলেকট্রিক এস্ট্রলাইজার মেশিন।
এ প্রসঙ্গে খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, 'অ্যানেসথেশিয়া মেশিন খুবই সংবেদনশীল। উপজেলা পর্যায়ে কোন অ্যানেসথেশিওলজিস্ট না থাকায় আমরা সেই মেশিনগুলি চালাতে পারি না। ছোটখাটো অপারেশনের জন্য প্রশিক্ষিত ডাক্তাররা রোগীকে অজ্ঞান করতে পারেন। তবে অভিজ্ঞরা ছাড়া অ্যানেসথেশিয়া মেশিন চালাতে পারেন না।'
তিনি বলেন, 'আমাদের উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে সরকার থেকে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি দিয়েছে। তবে এখনো জনবল পাওয়া যায়নি। তাই সেসব ব্যবহার করা যাচ্ছে না।'
দীর্ঘদিন ধরে দামি চিকিৎসা সরঞ্জাম অব্যবহৃত থাকার জন্য মন্ত্রণালয় ও চিকিৎসকদের গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) খুলনা জেলার সভাপতি মো. কুদরত-ই-খুদা বলেন, 'খুমেক হাসপাতালে যে লিনিয়ার এক্সিলেটর মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে, হাসপাতাল থেকে কিন্তু সেই মেশিনটি রিকুইজেশন পাঠানো হয়নি। মন্ত্রণালয় এখানে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখানকার চিকিৎসকরা মন্ত্রণালয়কে তাগাদা দিয়ে মেশিনটি স্থাপনের ব্যবস্থা করেননি। তাই এখানে দুর্নীতির আশ্রয় আছে।'
তিনি বলেন, 'বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য ঠিকাদার যন্ত্রপাতির তালিকা তৈরি করেন। মন্ত্রণালয় সেই সব মালামাল ঠিকাদারদের মাধ্যমে ক্রয় করে হাসপাতালগুলোতে পাঠায়। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল বা ব্যবস্থাপনার অবকাঠামো নেই, সেটা মন্ত্রণালয়ের খেয়াল থাকছে না। তাই এটা স্পষ্ট হয়, কেনাকাটায় দুর্নীতি করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে এসব মালামাল ঠেলে পাঠানো হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বাণিজ্য সেন্টার গড়ে উঠেছে। চিকিৎসকরা সেখান থেকে নিয়মিত কমিশন পেয়ে থাকেন। তাই সরকারি হাসপাতালের মালামাল অকেজো হোক বা পড়ে থাকুক এতে তাদের কিছু আসে-যায় না। বরং এসব মালামাল ভাল থাকলে তাদের কমিশন বন্ধ হয়ে যায়।'
মো. কুদরত-ই-খুদা বলেন, 'চীনে হাসপাতাল পরিচালনা করে সরকার। আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একই হাসপাতালে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রক্রিয়ায় চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান দায়িত্বে থাকে। সেখান থেকে রোগীরা পরীক্ষা করান। সরকারিভাবে পরীক্ষার টাকা নির্ধারণ করা থাকে। এতে রোগ নির্ণয়ের ঝামেলা চিকিৎসকদের নিতে হয় না। সরকারেরও ভারী যন্ত্রপাতি কিনে বসিয়ে রাখতে হয় না। চিকিৎসকরাও কমিশনের ভিত্তিতে বাইরে রোগী পাঠাতে পারেন না। এই রকম কিছু করা গেলে সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীরা কাঙ্খিত সেবা পাবেন।'
বেড়েই চলছে বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনোস্টিক
খুলনা মহানগরী ও উপজেলাগুলোতে প্রতিবছরই বাড়ছে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। সরকারি হাসপাতালে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে রোগীরা বেসরকারিমুখী হওয়ায় প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে এসব প্রতিষ্ঠান।
খুলনা সিভিল সার্জন এবং বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে নগর ও উপজেলায় এসব প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৬৭টি। এর মধ্যে গত দুই বছরে বেড়েছে ৬৯টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার।
গত বছরের ২৬ মে দেশের সব অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর খুলনায় অভিযান চালিয়ে প্রশাসন মহানগরীতে লাইসেন্সবিহীন ৩৯টি ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা দেয়। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু বর্তমানে সবগুলো প্রতিষ্ঠানই ব্যবসা পরিচালনা করছে।