ভিসা বাণিজ্যের অভিযোগে ঢাকাস্থ দূতাবাসের সাবেক ২ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করলো সৌদি আরব
ঘুষ নিয়ে সৌদি আরবে কাজের ভিসা দেওয়ায় ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির দূর্নীতি দমনকারী কর্তৃপক্ষ- নাজাহা। তাদের সঙ্গে ভিসা বাণিজ্য জড়িত থাকায় এবং সৌদি আরব থেকে অর্থ পাচারের অভিযোগে, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক মো. নাসের উদ্দিন নূর (বাংলাদেশে একটি রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির মালিক)সহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। খবর আরব নিউজের
নাজাহা জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা অবৈধ ভিসা বাণিজ্যে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
সাবেক এই কর্মকর্তারা হলেন, বাংলাদেশ অবস্থিত সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের সাবেক প্রধান ও উপরাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ ফালাহ মুদাহি আল-শামারি এবং কনস্যুলার বিভাগের উপপ্রধান খালেদ নাসের আয়েদ আল-কাহতানি।
সৌদিতে একটি তদন্তের সূত্র ধরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসে কর্মরত থাকার সময় তারা ৫ কোটি ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল (১৫৪ কোটি টাকা) ঘুষ নিয়ে সৌদিতে কাজের ভিসা দেন। এই যোগসাজশে বাংলাদেশি নাগরিকরা জড়িত ছিলেন।
পরে সৌদি আরবে গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ১৮ লাখ সৌদি রিয়াল, সোনার পাত ও বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়। ঘুষ নিয়ে সৌদির ভিসা অবৈধভাবে দেওয়ার মাধ্যমে তারা এসব সম্পদ অর্জন করেছেন বলে নাজাহা জানিয়েছে।
নাজাহা জানায়, 'গ্রেপ্তারকৃত কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন এই অর্থের কিছু অংশ তারা সৌদিতে প্রেরণ করেন, আর বাকিটা সৌদির বাইরে বিনিয়োগ করেছেন।
এদিকে পৃথক এক অভিযোগে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মী এবং প্রবাসী তিন বাংলাদেশিকেও আটক করেছে সেদেশের দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ। তাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি এক বিনিয়োগকারীকেও আটক করা হয়।
সৌদির এক নাগরিককে জোর করে এক আর্থিক অঙ্গীকারনামায় সই করতে বাধ্য করার অভিযোগে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, ফিলিস্তিনি ওই বিনিয়োগকারীর পক্ষে অঙ্গীকারনামায় সই করিয়ে নেওয়ার বিনিময়ে তারা ৬০ হাজার সৌদি রিয়াল ঘুষ নিয়েছেন।
শনিবার (৪ মার্চ) তাদের বিরুদ্ধে এক অপরাধ মামলা দায়ের করেছে নাজাহা।
এই অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সৌদি নাগরিকরা হলেন রিয়াদ আঞ্চলিক পুলিশের আদালতের নিরাপত্তার ভারপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মেতাব সাল-ঘানৌম এবং রিয়াদের স্পেশাল মিশন ফোর্সের কর্পোরাল মাস্তুর সাদ বিন তায়েব। ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারীর নাম সালেহ মোহাম্মদ সালেহ আল-শাহলত।
আরো তদন্তের পর বাংলাদেশি নাগরিক আশরাফ উদ্দিন আকন্দ, আলমগীর হোসেন খান, শফিক আল ইসলাম শাহ জাহানসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাকে আটক করা হয়।