কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত লোকে লোকারণ্য
পবিত্র রমজান মাসে কক্সবাজারে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ভিড় ছিল না সেভাবে। অনেকটাই নীরবে কেটেছে পুরো রমজান। কিন্তু, ঈদ উপলক্ষে পর্যটকের পদচারণায় আবারো মুখর সৈকত। ঈদের টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকের আগমনে আপনরূপে ফিরেছে সৈকতের সবগুলো পয়েন্ট। অন্যান্য পর্যটন স্থলেও উপচে পড়ছে ভিড়।
আজ রোববার (২৩ এপ্রিল) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সী গাল, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের বালিয়াড়িতে দেখা যায়, পর্যটকসহ স্থানীয় মানুষের আনাগোনা। সাগরের ঢেউয়ে কেউ শরীর ভিজিয়ে গোসল করছেন, কেউবা টিউব নিয়ে সাঁতার কেটে উপভোগ করছেন সাগরের জলরাশি। অনেকে জেড স্কিতে চড়ে ঘুরে আসছেন ঢেউয়ের তালে তালে। সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোরাফেরা, বীচ ছাতার তলে বসে সাগরের শীতলতা উপভোগেও ব্যস্ত ছিলেন অনেকেই। ঈদ উৎসব ঘিরে কক্সবাজার সাগর সৈকতে দেখা যায়- সব বয়সের মানুষের আনন্দ-উল্লাস।
সৈকতে দায়িত্বরত জেলা প্রশাসনের কর্মী মোহাম্মদ বেলাল জানিয়েছেন, কক্সবাজারের সৈকত ছাড়াও পর্যটকরা ঘুরছেন হিমছড়ি, ইনানী, পাতুয়ার টেক ও মেরিন ড্রাইভে।
ভ্রমণের আসা আফরোজা খানম নামের এক শিক্ষিকা জানান, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার এসে ভিন্ন এক সৈকত উপভোগ করতে পারছেন। 'স্বাভাবিক অবস্থায় চেয়ে সাগর একটু উত্তাল। শহরের চেয়ে গরমও কম। স্বপরিবারে এসে ভালো লাগছে'।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, প্রায় ৮০ শতাংশ রুম বুকিং রয়েছে। ফলে তারা ধারণা করছেন, ৯০-৯৫ হাজার পর্যটক ঈদ উদযাপনে কক্সবাজারে এসেছেন।
রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ী তোফায়েল আনোয়ার জানান, ৩ দিনের জন্য কক্সবাজারে আসা। খুব বেশি পর্যটক না আসলেও সংখ্যাটা লাখের কম হবে না বোধকরি। অন্যান্য ঈদের চেয়ে পর্যটকের চাপ কম হওয়ায় – এবারের ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ পাচ্ছেন।
সি -সেফ লাইফ গার্ডের কর্মী জয়নাল আবেদীন ভূট্টো জানান, বৈশাখের তীব্র রোদ, তার সঙ্গে উত্তাল সাগর। তাই লাখো পর্যটকের সমুদ্রস্নানে ৩ স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছে সৈকতপাড়ের লাইফ গার্ড কর্মীরা। পর্যটকদের সর্তক করার পাশাপাশি সজাগ দৃষ্টি রাখছেন তারা।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, 'পর্যটন স্পট, হোটেল-মোটেল জোন ও সৈকতে জোরদার রয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে'।
পর্যটকরা নিরাপদে ভ্রমণ করে ঘরে ফিরতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।