২০০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলায় বাদশা গ্রুপের কর্ণধারকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ
ঋণ খেলাপি মামলায় বাদশা গ্রুপের কর্ণধার ইসা বাদশাকে (মহসিন) বিদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০০ কোটি কোটি টাকা খেলাপি পাওনার বিপরীতে ওয়ান ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান মঙ্গলবার (৯ মে) এই আদেশ দেন।
ওয়ান ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জুয়েল দাশ জানান, "ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ঋণ খেলাপি ইসা বাদশার বিরুদ্ধে ছয় মাসের দেওয়ানি আটকাদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে এই খেলাপি গ্রাহক বিদেশ অবস্থান করার তাকে দেশে ফিরিয়ে আনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ব্যাংক ও আদালতের তথ্যমতে, ২০০ কোটি টাকা ঋণ আটকে যাওয়ায় ২০১৯ সালে বাদশা গ্রুপের কর্ণধারদের বিরেুদ্ধে অর্থঋণ মামলা দায়ের করে ওয়ান ব্যাংক। জুবলি রোড শাখার দায়ের করা এই মামলার রায় হয় ২০২১ সালে।
পরবর্তীতে ওই বছরই (২০২১ সাল) জারি মামলা দায়ের করে ওয়ান ব্যাংক। মামলা দায়েরের পর ২৩টি ধার্য তারিখ অতিবাহিত হলেও ঋণ গ্রহীতা অর্থাৎ, বিবাদি পক্ষ আদালতে হাজির হননি। এমনকি নানান জটিলতার কারণে ঋণের বিপরীতে কোলাটারেল সিকিউরিটি হিসেবে থাকা সম্পত্তিও বিক্রি করতে পারেনি ব্যাংক।
বাদশা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসা বাদশা ২০১৮ সালে কানাডায় পাড়ি জমান। জানা যায়, বিদেশে এখন তিনি বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করছেন; কানাডার টরন্টোতে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ও বাড়িও রয়েছে তার।
গ্রুপটির কাছে ওয়ান ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকসহ আট ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ আটকে গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল 'ঋণ নিয়ে দেশত্যাগ: যেভাবে ঋণ পরিশোধ করা এড়িয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায়। যেখানে চট্টগ্রামের ২২ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৩৩ ব্যবসায়ী প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে দেশত্যাগ করেন বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়।