সরকারি ব্যয়ে আকাশপথে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ স্থগিত
সরকারি ব্যয়ে আকাশপথে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ স্থগিত করেছে সরকার। বুধবার (৩১ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপে সই করেছেন।
কোভিড-পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয় যৌক্তিকীরণের নানামুখী পদক্ষেপের আওতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারি প্রেস সচিব এম. এম. ইমরুল কায়েস রানা।
করোনা পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে সরকার ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধন নীতি নিয়ে এসেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অর্থে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করা হয় যা এ বছরের মার্চ পর্যন্ত বজায় ছিল।
২০২৩ সালের মার্চে এ খাতের বরাদ্দের সর্বোচ্চ অর্ধেক ব্যয়ের অনুমোদন দেয় অর্থ বিভাগ।
এছাড়া প্রশিক্ষণ, গাড়ি কেনা, ও স্টেশনারি পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও ব্যয় কমানোর নির্দেশনা রয়েছে। চলতি অর্থবছরে পরিচালন ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের ফলে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় হয়েছে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
আগামী অর্থবছরেও সরকারের কৃচ্ছ্রতাসাধন নীতি অব্যাহত থাকবে।
আকাশপথে বা উড়োজাহাজে তিন শ্রেণিতে ভ্রমণ করা যায় — প্রথম শ্রেণি, বিজনেস ক্লাস ও ইকোনোমি ক্লাস। তবে বাংলাদেশে সেবা দেওয়া বেশিরভাগ এয়ারলাইনের এয়ারবাসে প্রথম শ্রেণির সেবা নেই। সাধারণত বিজনেস ক্লাস ও ইকোনোমি ক্লাসের সেবা দেয় এয়ারলাইনগুলো।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম টিবিএসকে বলেন, প্রথম শ্রেণির তুলনায় বিজনেস ক্লাসে ভাড়া গড়ে ৫০ ভাগ কম হয়ে থাকে। আর ইকোনোমি ক্লাসে তা পাঁচ থেকে ছয়গুণ পর্যন্ত কম হয়।
অর্থাৎ ইকোনোমি ক্লাসে কোনো টিকিটের মূল্য এক লাখ টাকা হলে বিজনেস ক্লাসে তার মূল্য দুই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আর একই এয়ারবাসে প্রথম শ্রেণিতে খরচ চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে। ফলে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ না করলে অবশ্যই সরকারের সাশ্রয় হবে বলে জানান ওয়াহিদুল আলম।