বায়তুল মোকাররমে সমাবেশের জোর প্রস্তুতি জামায়াতের
শনিবারের নির্ধারিত সমাবেশের জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, যা এদিন রাজধানীতে বায়তুল মোকাররমের সামনে আয়োজন করতে চায় দলটি।
দলটির অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো জানায়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার শর্তে ডিএমপি থেকে অনুমতির আভাস পেয়েছে তারা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন বলেন, "আমাদের একটি টিম শুক্রবার বিকালে আবারও ডিএমপিতে যাবেন, আশা করি প্রশাসন আমাদের কোনো বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করবেন।"
তিনি আরো বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বায়তুল মোকাররম থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলটি করবো না, শুধু বায়তুল মোকাররম এলাকাতেই সমাবেশ করবো।
এর আগে গত ২৯ মে সমাবেশের অনুমতি চাইতে গেলে ডিএমপি কার্যালয়ের সামনে থেকে জামায়াতের চার প্রতিনিধিকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়। এসময় ডিএমপি জানায়, তাদের আটক করা হয়নি, বরং জেরা করার জন্য আনা হয়েছিল।
সমাবেশ সফল করার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি সম্মেলন কক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, "ক্ষমতাসীনদের ১৫ বছরের দুঃশাসনে জনগণ চরম অতিষ্ঠ। এই পরিস্থিতিতে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতা ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আমরা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছি।"
"দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা জাতির সামনে জনগণের কথাগুলো তুলে ধরতে চাই। এটা আমাদের সংবিধানিক অধিকার। এজন্য পুলিশ কার্যালয়ে প্রতিনিধি দল প্রেরণ করে আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সফল করার জন্য সহযোগিতার আবেদন করেছি। আমরা প্রত্যাশা করি,সমাবেশের বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার সিদ্ধান্ত জানিয়ে আমাদের অবহিত করা হবে। যেন আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সফল করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারি। জামায়াতে ইসলামী তার ঐতিহ্যগতভাবে এই সমাবেশ শান্তিপূর্ণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
সমন্বয় সভায় বক্তব্য দেন—ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুর রহমান মূসা, দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম।
জামায়াতে ইসলামী সূত্র জানায়, শনিবারের সমাবেশে প্রশাসনের বড় বাধা না পেলে এক লাখের বেশি জনসমাগম আশা করা হচ্ছে। ঢাকার আশেপাশে কয়েকটি জেলা থেকে কিছু নেতাকর্মী আসবে। তখন আরো বড় জমায়েত করার প্রস্তুতি রয়েছে।
জামায়াতের অভ্যন্তরীণরা জানান, রাজধানীতে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার আগে আগামী ১০ জুনের সমাবেশ থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলীয় কার্যক্রম চাঙ্গা করতে বড় কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনাও রয়েছে। এখন থেকে প্রকাশ্যেই রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।