সিটি নির্বাচনের পরদিন থেকেই খুলনায় ফের বিদ্যুৎ বিপর্যয়
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের পূর্বে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন লোডশেডিং বন্ধ করতে। সেই অনুরোধে সাড়াও দিয়েছিল সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ।
সোমবারের (১২ জুন) ভোটযুদ্ধে জয়লাভ করেছেন তালুকদার আব্দুল খালেক। তবে ভোটের পরদিন মঙ্গলবার সকাল থেকে খুলনা শহরে আবার ফিরে আসে লোডশেডিং।
তবে মেয়র নির্বাচনের একদিন পরও বরিশাল নগরীতে বিদ্যুতের সরবরাহ ছিল নিরবচ্ছিন্ন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১২ জুন) দুই সিটিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা শহরে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (ওজোপাডিকো)।
ওজোপাডিকো'র কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে, গত ২ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত খুলনা শহরে কোন লোডশেডিং ছিল না। ১৩ জুন (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা থেকে শহরে আবার লোডশেডিং শুরু হয়।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে, খুলনা শহরে মোট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৬০ ওয়াট। এর বিপরীতে সরবরাহ হয়েছে ১২৯ মেগাওয়াট। লোডশেডিং ছিল ৩১ মেগাওয়াট। খুলনা শহরের পাশাপাশি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার শহরে, ৩৭টি পৌরসভা, দুটি সিটি কর্পোরেশন ও ২১টি উপজেলায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে ওজোপাডিকো। দুপুর ২টার দিকে তাদের আওতাধীন সব এলাকায় মোট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৬৭১ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে সরবরাহ হয়েছে ৬০৬ মেগাওয়াট। লোডশেডিং ছিল ৬৫ মেগাওয়াট।
ওজোপাডিকো'র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু হাসান বলেন, 'চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম থাকায় কয়েকটি এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।'
খুলনা শহরের ইকবাল নগর এলাকায় মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মোট ৩ বার লোডশেডিং হয়। এছাড়া শহরের নিরালা এলাকায় সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত লোডশেডিং ছিল। আহসান আহমেদ রোড এলাকায় সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৪ বার লোডশেডিং হয়, যার প্রত্যেকটির ব্যাপ্তি ছিল আধা ঘণ্টার উপরে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে খুলনার একজন বাসিন্দা জানান, 'ভোটের আগের কয়েকদিন বেশ ভালোই কেটেছিল। শহরে কোন লোডশেডিং ছিল না। তবে ভোটের পরের দিন আবার লোডশেডিং শুরু হলো। আমাদের ভোট নেওয়া হয়ে গেছে, আওয়ামী লীগের বিজয় হয়েছে, এখন আর আমাদের খবর রাখার তাদের দরকার নেই।'