সুনামগঞ্জে বাড়ছে পাহাড়ি ঢলের পানি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় হাওর ও সীমান্ত এলাকাবাসী
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নদ-নদী ও হাওরে পানির উচ্চতা বাড়ছে। ফলে বন্যার আশঙ্কায় সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের হাওর ও সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষ উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।
আজ শনিবার (১৭ জুন) দুপুর পর্যন্ত সুনামগঞ্জের ষোলঘরস্থ সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলার যাদুকাটা, চেলা, সুরমাসহ সবকটি নদীর পানি প্রবল বেগে নিম্নাঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে জেলার সবকটি হাওর পানিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। সাথে কয়েকটি উপজেলায় সড়কও পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা শহরে আসতে গিয়ে কোনো কোনো সড়কে মানুষজনকে নৌকা যোগে পারাপার করতে হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলের পানি বেড়ে যাওয়ায়, জেলার হাওর পাড়ে ও সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী কয়েক লাখ মানুষ গত বছরের মতোণ বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
জরুরি প্রয়োজনে তাহিরপুর উপজেলা থেকে জেলা শহরের উদ্দেশ্যে সকালে রওনা দেন স্থানীয় অধিবাসী জাহিদ হাসান। তিনি জানান, জেলার সাথে বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর সড়কের শক্তিয়ারখলাসহ কয়েকটি অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও জেলার হাওর পাড়ের সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে ভেঙে কষ্ট করে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে পৌঁছান তিনি।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকার নিম্নাঅঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। প্রতিবেশী ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানান, বন্যার আশঙ্কা দেখা দিলে, সরকারের তরফ থেকে পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা মজুদ রয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।