রেল, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
ঈদের আগের দিন রেল, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে মানুষের ভোগান্তিও কিছুটা বেড়েছে শেষবেলার এই ঈদযাত্রায়। বাসগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতেও দেরি করছে।
তবে অগ্রিম টিকিট কেনা না থকলেও বাস ও লঞ্চে এখনো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। ফলে কিছুটা স্বস্তিতে আছেন যাত্রীরা।
বাস
সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের চাপ তৈরি হয় গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভিড়। এছাড়া যাত্রাবাড়ি, গুলিস্তান, শ্যামলী ও কল্যাণপুর বাস টার্মিনালেও বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
এদিকে, যাত্রীরা আসার পর টিকিট পেলেও কিছু গাড়ি দেরি করে ছাড়ছে। এতে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
গাবতলীর সোনার তরী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার জুবায়ের বলেন, "গাবতলীতে ভোর থেকেই ভিড়। দিন বাড়ার সাথে সাথে ভিড়ও বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে টিকেট নিয়ে কোনো হাহাকার নেই; পর্যাপ্ত বাস আছে।"
"হয়ত একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে; কিন্তু সবাই টিকিট পাচ্ছেন," জানান তিনি।
বাস ছাড়তে দেরি হচ্ছে কি না জানতে চাইলে, রংপুর এক্সপ্রেসের কাউন্টার মাস্টার তুহিন বলেন, "আজ কিছু কিছু বাস ছাড়তে দেরি হচ্ছে। রাস্তায় জ্যামের কারণে বাস ঢাকায় ঢুকতে দেরি হওয়ায় এই বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া, বৃষ্টির কারণেও গাড়ি কিছুটা ধীরে চালছে রাস্তায়।"
লঞ্চ
আজ বুধবার রাজধানীর সদরঘাটেও ছিল ঘরমুখো মানুষের ভিড়। এখানেও সকাল থেকেই নদীপথে যাত্রা করতে ইচ্ছুক মানুষেরা আসতে শুরু করেন।
সকাল থেকেই পূর্ণ যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। তবে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, "সকাল থেকেই সদরঘাটে যাত্রী আসতে শুরু করেছে। এখনও চাপ আছে। তবে সেটা অতিরিক্ত নয়।"
"যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লঞ্চ ঘাটে আছে। যাত্রী ভরে গেলেই লঞ্চ ছেড়ে দিচ্ছে," জানান তিনি।
তবে বৃষ্টির কারণে যাত্রীদের সদরঘাটে পৌঁছাতে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে; বৃষ্টি যখন থামছে, তখন যাত্রী বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আলমগীর কবির জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে প্রায় অর্ধশত লঞ্চ ঢাকার সদরঘাট ছেড়েছে।
রেল
ঈদযাত্রার শেষ দিনে ঘরমুখো মানুষের সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল রেল স্টেশনে। এবার আগে থেকেই অনলাইনে ঈদের টিকিট কেটেছেন যাত্রীরা।
আর যারা অনলাইন মাধ্যমে টিকিট কাটতে পারেননি তাদের জন্য ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিটের ব্যবস্থা রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সরোয়ার বলেন, "স্টেশনে আজ যাত্রীদের চাপ থাকলেও ভোগান্তি নেই। কারণ আমরা টিকেট ছাড়া কোনো লোক স্টেশনে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। ফলে কেউ ট্রেনের অতিরিক্ত যাত্রী হতে পারছেন না।"
এছাড়া, আজ ট্রেনে কোনো শিডিউল সমস্যা হয়নি বলেও জানান তিনি।