৩.২০ লাখ চামড়া সংগ্রহ ট্যানারি এস্টেটে
ঈদের প্রথম দিনে সর্বমোট ৩ লাখ ২০ হাজার পিস কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ।
শুক্রবার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
এ বছর গরু, মহিষ ও ছাগল মিলিয়ে সর্বমোট ১ কোটি পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের।
এর আগে গতকাল ঈদুল আজহার প্রথম দিনে বৃষ্টির কারণে কিছুটা বিলম্বে ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে কাঁচা চামড়া আসতে শুরু করে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে। এদিন রাত ৯টা পর্যন্ত ৭০ হাজার পিস কোরবানির পশুর চামড়া ট্যানারি এস্টেটে প্রবেশ করে বলে জানান বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান রিজওয়ান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের দিন বৃষ্টির কারণে এ বছর কাঁচা চামড়া কিছুটা দেরিতে আসতে শুরু করে ট্যানারিতে। সন্ধ্যার পর থেকে চাপ বাড়তে শুরু করে এবং রাতভর ঢাকার আশেপাশের এলাকার চামড়া প্রবেশ করে ট্যানারিতে।
অপরদিকে তুলনামূলক শীতল আবহাওয়া কাঁচা চামড়ার সংরক্ষণের জন্য উত্তম হলেও বৃষ্টির পানিতে এ বছর একটি বড় অংশের চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন ট্যানারি মালিক ও সংশ্লিষ্টরা।
ট্যানারি মালিকরা বলছেন, ঈদের দিন সকাল থেকেই বৃষ্টি হওয়ায় কোরবানির পর অধিকাংশ চামড়াই বৃষ্টিতে ভিজেছে। আবার ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে যেসব চামড়া আসে, এসব চামড়ার খুব কমই লবণ দেওয়া থাকে। কিন্তু ৬ ঘন্টার মধ্যে এসব চামড়ায় লবণ দেওয়া না হলে এতে ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শুক্রবার দুপুরে শিল্প নগরীর বিভিন্ন ট্যানারি ঘুরে দেখা যায়, এখনও ব্যস্ত সময় পার করছেন ট্যানারি শ্রমিকরা। রাতভর কাজের চাপ অনেক বেশি থাকলেও এখন চাপ তুলনামূলক কম।
চামড়া শিল্পে চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ কাঁচা চামড়ার জোগান আসে ঈদুল আজহায় কোরবানিকৃত পশুর চামড়া থেকে। সব মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ৮-১০ হাজার শ্রমিক নিয়মিত এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত থাকলেও বছরের এই সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩ হাজার শ্রমিক নতুনভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে এই শিল্পে যুক্ত হন।