সোমবার চালু হচ্ছে প্যান্ডামার্টের স্টোর, সরাসরি পণ্য পিকআপ করতে পারবেন ক্রেতারা
সোমবার থেকে ইন-পারসন স্টোর পিকআপ পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে ফুডপান্ডার গ্রোসারি ডেলিভারি শাখা প্যান্ডামার্ট। রেস্তোরাঁ থেকে খাবার পিকআপের মতোই এই স্টোর থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রেতারা নিজেরা নিয়ে আসতে পারবেন।
প্রাথমিকভাবে গ্রাহকরা রাজধানীর গুলশান-২ এর স্টোর থেকে এ পরিষেবা পাবেন।
ফুডপান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুবায়ের বি এ সিদ্দিকী শুক্রবার (১৪ জুলাই) টিবিএসকে জানান, পরিষেবাটি যদি বাজারের সাথে মানানসই হয় তাহলে আরো প্রায় ২০টি ডার্ক স্টোর খুলবে প্যান্ডামার্ট।
জুবায়ের বলেন, "এই মুহূর্তে ফুডপান্ডায় অর্ডার করা খাবারের ৩ থেকে ৫% অর্ডার গ্রাহকরা রেস্তোরাঁর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নিজেরাই নিয়ে যান।"
স্টোর খোলা হলে নিজে থেকে পণ্য নেওয়ার সময় সেগুলো ক্রেতাদের কাছে আরো বেশি আকর্ষণীয় মনে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
"শহরের অনেক ব্যস্ত মানুষই তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে অনলাইন অর্ডারের উপর নির্ভরশীল। আমাদের ডার্ক স্টোরগুলো কীভাবে কাজ করে এবং আমরা কীভাবে পণ্যের গুণমান বজায় রাখি তা গ্রাহকদের দেখাতে পারবো ভেবে আমি বেশ এক্সাইটেড," তিনি বলেন।
"পিকআপ অর্ডারের বেলায় যেমন কিছু ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়, তেমনি ডেলিভারি চার্জটাও বেঁচে যায়," বলেন জুবায়ের।
প্যান্ডামার্টের গ্রাহকরা অনলাইনে অনেক সুপারমার্কেট চেইন থেকেও অর্ডার করতে পারেন। সেসব পণ্য ফুডপান্ডার ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়।
টেক ইন এশিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জার্মান ফার্ম ডেলিভারি হিরো'র মালিকানাধীন ফুডপান্ডা পাকিস্তানেও গ্রোসারি পিকআপ পরিষেবা চালু করবে।
মূলত গত মার্চ মাসে সিঙ্গাপুরে স্টোর পিকআপ পরিষেবা চালু করা হয়। বর্তমানে সেখানে একটিমাত্র প্যান্ডামার্ট স্টোরে এ সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। আবার মালয়েশিয়াতে সব স্টোরে মিলছে নির্দিষ্ট কিছু পণ্য।
এছাড়া গত এপ্রিলে হংকং-এ স্টোর পিকআপ পরিষেবা চালু হওয়ার পর থেকে গ্রাহকরা পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য হাতের নাগালে পেয়ে যান। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার গ্রাহকরা অর্ডারের ১৫ মিনিটের মধ্যেই নিতে পারেন পণ্য।
থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, লাওস, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনে রয়েছে ফুডপান্ডার পরিষেবা।
বাংলাদেশে ২০১৩ সাল থেকে যাত্রা শুরু ফুডপান্ডার, ২০১৭-১৮ সালে তাদের ব্যবসা পরিসর দ্রুত বাড়ে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উচ্চ মূল্যস্ফীতির আগে করোনা মহামারির সময়টায় দেশে ফুড ডেলিভারি সার্ভিসের বেশ প্রসার ঘটে।
দেশব্যাপী পরিষেবা দেওয়া ফুডপান্ডা বর্তমানে অনলাইন ফুড অর্ডারের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ একাই সরবরাহ করে।