চট্টগ্রামে বিএনপি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির কার্যালয় নসিমন ভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ মামলা হিসেবে পুলিশ নথিভুক্ত করেনি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেল চারটায় নসিমন ভবনের কেয়ারটেকার মোহাম্মদ হোসেন মামলায় দায়ের করতে নগরের কোতোয়ালী থানায় যান। প্রায় ৪৫ মিনিট থানায় অবস্থান করলেও পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা।
নগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিশোধের ২০-২৫ জন আইনজীবীসহ নসিমন ভবনের কেয়ারটেকার মোহাম্মদ হোসেন মামলা দায়ের করতে গেলেও পুলিশ তা নথিভুক্ত করেনি। উল্টো পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতকাল এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।'
বিএনপির পক্ষের আইনজীবী ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, 'আমরা বিকেল চারটায় কোতোয়ালী থানায় যাই। এ সময় ডিউটি অফিসার আমাদের জানান ওসি সাহেব থানায় নেই। তখন আমরা অভিযোগটি রিসিপশনে জমা দেই। অভিযোগপত্রে দুইজনের নাম উল্লেখসহ ২৫০–৩০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
'কিন্তু এসময় ডিউটি অফিসার মামলাটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে ওসি (তদন্ত) আমাদের ডেকে নিয়ে বলেন, গতকাল এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে মিছিল করেছে, এ ঘটনার ভিডিও তাদের কাছে আছে। পরে প্রায় ৪৫ মিনিট সেখানে অপেক্ষার পর মামলা না নেওয়ায় আমরা চলে আসি।'
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুবেল হাওলাদার বলেন, 'আমরা মামলা নেব না এমন কোনো কথা বলিনি। বলেছি সেখানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তারপরও আমরা ওসি সাহেব রাতে এলে তাদের আবারও থানায় আসতে বলেছি।'
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (দক্ষিণ জোন) এডিসি নোবেল চাকমা বলেন, 'মামলা নেওয়ার এখতিয়ার থানার, কেন মামলা নেওয়া হয়নি তা আমার জানা নেই।'
এ বিষয়ে জানতে কোতোয়ালী থানার ওসি জাহিদুল কবিরের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি।
এর আগে বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে বিএনপির পদযাত্রা শেষে ফেরার পথে নগরীর লালখানবাজার এলাকায় চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিউদ্দীন বাচ্চুর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলার অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এতে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ক্যাম্পের ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ।
এ ঘটনার জেরে বিকেলে নগর বিএনপি অফিসে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। ঘটনার পরপর সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে আরিফুল ইসলাম নামক আওয়ামী লীগের এক কর্মী বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।