পাহাড় কাটলে শ্রমিক নয়, মালিককে গ্রেফতারের নির্দেশ পরিবেশ উপদেষ্টার
চট্টগ্রামে পাহাড় কাটালেই পাহাড়ের মালিককে গ্রেফতার করতে বলেছেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। পাহাড় কাটার অপরাধে দরিদ্র শ্রমিকদের গ্রেফতার না করার নির্দেশও দেন তিনি।
এছাড়া, মালিকের নামসহ চট্টগ্রামের সবগুলো পাহাড়ের তালিকা প্রণয়নের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনাও দেন তিনি।
আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে পলিথিন-বিরোধী ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, 'প্রজাতন্ত্রে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পাহাড়গুলোকে রক্ষা করা। তার জন্য প্রয়োজনে রাতে পাহাড়গুলো পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। চট্টগ্রামকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে— বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে মনিটরিং জোরদার করলে পাহাড় কাটা রোধ করা - কোনও কঠিন কাজ হবে না।
পলিথিন ও প্লাস্টিক বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পলিথিনের বিকল্প আমাদের ছিল। সে বিকল্পগুলোকে আমাদের আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে সরকার। গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পলিথিন উৎপাদনকারীসহ স্টেকহোল্ডারদের সাথে সভা করার পর ঢাকার কয়েকটি জায়গায় অভিযান প্রায় ১০০ টনের মত পলিথিন জব্দ ও কারখানাগুলো ইউটিলিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগ এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির জন্য দায়ী, সেই পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক আমাদের বর্জন করতে হবে। পলিথিনের বিকল্প আমাদের সবার কাছেই আছে। ঢাকা শহরের সুপার শপিং মলগুলো হতে ৯০ শতাংশ পলিথিন দূর করা গেছে। সেখানে কাপড়, কাগজ ও পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।
শব্দদূষণ বিষয়ে তিনি বলেন, গাড়ির চালকদের সচেতন করা না গেলে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই যে যেই গাড়িতে উঠবেন চালককে হর্ণ বাজানো থেকে বিরত থাকতে সচেতন করতে হবে।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার নতুন করে আইন প্রনয়নের কথা ভাবছে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন মেয়র ডা. শাহাদাৎ হোসেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম) হুমায়ুন কবির ও সিটি করপোরেশন সিইও শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।