চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ জেলা প্রশাসনের
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ লিংক রোডের পাশে পাহাড় কেটে রাস্তা ও বসতঘর নির্মাণের ঘটনায় ভূমি মালিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ এলাকার বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় পাহাড় কেটে ঘর, রাস্তা-ঘাট নির্মাণের প্রমাণ পায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জানান, শনিবার সকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বায়েজিদ লিংক রোড দিয়ে যাতায়াতের সময় পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি দেখতে পান। এরপর তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেখানে গিয়ে ৯০ ডিগ্রি কোণে খাড়া পাহাড় কাটার প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব পাহাড়ের মালিকানার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়।
তিনি বলেন, "নথিপত্র খতিয়ে এসব পাহাড়ের মালিকানায় জাফর আহামদ মজুমদার, মোহাম্মদ হাছান আহাম্মদ কন্ট্রাক্টর, মোহাম্মদ আইয়ুব মিঞ্চা, এসএম নুরুন্নবী, সৈয়দা মাসকুরা আক্তার, মোছাম্মৎ জেবুন্নাহার খানম, মোছাম্মৎ শকিনা আক্তার চৌধূরী, মো. সোহরাব হোসেন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মো. ফরিদ মিঞ্চা, আবুল মনসুর, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহাম্মদ হামিদ, ডা. শামীমা আকতার, মোহাম্মদ সোলায়মানের নাম পাওয়া যায়। ঢিলা শ্রেণির এসব ভূমি আকবর হোসেন খোকন নামের একজন বায়না করেছেন। তিনি এসব পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছেন বলে জানা গেছে। এজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এবং আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নিয়মিত মামলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরো বলেন, "এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর দুই দফা সরেজমিনে পরিদর্শন করে গেলেও পাহাড় কাটার সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করেনি। জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের আইনি ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছে।"
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, "পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আমাদের অভিযান চলমান আছে। পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।"