বিটিআই আমদানিতে অনিয়ম: মার্শাল অ্যাগ্রোভেটকে কালো তালিকাভুক্ত করে মামলার প্রস্তুতি
মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েনসিস ইসরায়েলেনসিস (বিটিআই) কীটনাশক আমদানিতে জালিয়াতির অভিযোগে রাসায়নিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা।
তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
লার্ভিসাইড আমদানিতে প্রতারণার অভিযোগের পর ঢাকা উত্তর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিটিআই প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়; এর কয়েকদিনের মধ্যেই রাসায়নিক সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
আমদানিকারক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মার্শাল অ্যাগ্রোভেট দাবি করেছিল, কীটনাশকটি সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল কোম্পানি (এস) পিটিই লিমিটেড থেকে এসেছে।
তবে সেই দাবি অস্বীকার করে, সিঙ্গাপুরের কোম্পানি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তাদের পরিচয় অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছে। জোর দিয়ে কোম্পানিটি জানিয়েছে কীটনাশক সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করা হয়নি।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন জানায়, মার্শাল অ্যাগ্রোভেট সিঙ্গাপুর থেকে বিটিআই আমদানির দাবি করলেও সেখানকার প্রতিষ্ঠান তা অস্বীকার করেছে। পরে গত ১৪ আগস্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয় ডিএনসিসি।
তাদের চিঠির জবাবে গত বৃহস্পতিবার মর্শাল জানায়, বিটিআই তারা চীনের একটি কোম্পানির মাধ্যমে সরবরাহ করেছে।
কিন্তু মার্শাল অ্যাগ্রোভেট এই ব্যাখ্যার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র দাখিল করতে পারেনি। ফলে তাদের ব্যাখ্য গ্রহণ করেনি সিটি কর্পোরেশন। প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি বিটিআই সরবরাহের ক্রয় আদেশও বাতিল করেছে ডিএনসিসি।
ঢাকা উত্তরের কর্মকর্তারা জানান, সিটি কর্পোরেশন মার্শাল অ্যাগ্রোভেটকে সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য কোনো দেশ থেকে বিটিআই আমদানির অনুমোদন দিয়েছিল।
এদিকে, এ ধরনের রাসায়নিক আমদানির লাইসেন্স মার্শাল অ্যাগ্রোর ছিল না বলেও পরে জানা গেছে।
অথচ প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তারা সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল কোম্পানি (এস) পিটিই লিমিটেড (বেস্টকেম) থেকে ৫৩ লাখ টাকার বেশি মূল্যের ৫ টন বিটিআই আমদানি করেছে।