কক্সবাজার রেলস্টেশনের ৮৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন, অক্টোবরে যাবে ট্রেন
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে তৈরি করা হচ্ছে রেলপথ। কক্সবাজার সদরে নির্মিত হচ্ছে ঝিনুকের আদলে তৈরি দেশের একমাত্র 'আইকনিক রেলস্টেশন'। ইতোমধ্যে স্টেশনের ৮৫ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ।
রেলস্টেশন তৈরির দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী অক্টোবরেই যাত্রীদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হবে এই রেলস্টেশন। প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. আহমেদ সূফী মঙ্গলবার বিকেলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এসব জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আইকনিক রেলস্টেশনের মূল ভবন, ঝিনুক আকৃতির ছাদ ও যাত্রীসেবার আনুষঙ্গিক বেশ কিছু কাজ শেষ হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আগামী অক্টোবরের মধ্যে প্রকল্প চালুর জন্য নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ফোয়ারাসহ বাকি ১৫ শতাংশ কাজ স্টেশন চালুর পর নির্মাণ করা হবে।'
তিনি জানান, ছয়তলা স্টেশন ভবনের মূল কাঠামোর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও পদচারী-সেতুর কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। একসঙ্গে চলছে স্টেশন ভবনের পশ্চিম পাশে পাঁচতলা ২০টি ভবনের নির্মাণকাজ। উদ্বোধনের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে তা নির্দিষ্ট সময়ে সম্পূর্ণ করতে দিন-রাত কাজ চলছে।
ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের জিএম ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. আহমেদ সূফী বলেন, 'ছয়তলা রেলস্টেশনের মূল ভবনটির কাজ শেষ। ভবনের চারদিকের গ্লাস ফিটিংস, ছাদের ওপর স্টিলের ক্যানোপির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পাশাপাশি ভবনের দরজা, ফিটিংস, টাইলস, স্যানিটারি, বিদ্যুতের লাইন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। উদ্বোধনের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে তা আমরা নির্দিষ্ট সময়েই সম্পূর্ণ করতে পারব।'
ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, ২৯ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা রেলস্টেশন ভবনটি ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭ বর্গফুটের। যেখানে থাকছে তারকামানের হোটেল, শপিং মল, রেস্তোরাঁ, শিশুযত্নকেন্দ্র, লকার বা লাগেজ রাখার স্থান। এছাড়া কক্সবাজার অংশের ৫০ কিলোমিটার রেল ট্র্যাক বসানোর কাজও শেষ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সম্প্রতি চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। তিনি কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
সে সময় রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আরামদায়ক হিসেবে রেলকে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে দোহাজারী থেকে কক্সবাজারে সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। আমাদের জন্য গর্বের বিষয় কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং। এরকম অনন্য স্থাপনা অন্য কোথাও নেই। কক্সবাজারে ট্রেনে করে আসার জন্য সারাদেশের মানুষ ভীষণ আগ্রহী হয়ে আছে।'