এক বছর পর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ই-অকশন, নিলামে উঠছে ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকার পণ্য
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ই-অকশন বা অনলাইন নিলাম। ২৩টি লটে নিলামে তোলা হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকার পণ্য।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য মতে, ই-অকশনে তোলা পণ্যের মধ্যে রয়েছে এলপিজি খালি সিলিন্ডার, ইলাস্টিক ব্যান্ড, ঢেউতোলা প্লাস্টিক শীট, কাচের পুঁতি, তিয়ানশি লিপিড মেটাবলিক টি, সেল রিজুভেনেশন ক্যাপসুল এবং গ্রেপ এক্সট্র্যাক্ট ক্যাপসুল, ফ্যাব্রিক, টপ হ্যাঙ্গার এবং প্লাস্টিকের হ্যাঙ্গার, তুলা, জুতা, গাম টেপ, তৈরি পোশাক, পোলো শার্ট, পাথরের টাইলস, নতুন মূলধনী যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক ব্লক, পোলার জ্যাকেট, টি শার্ট ইত্যাদি।
সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই অকশন। এক বছর পর আবারো ই-অকশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের বৃহৎ এই শুল্ক স্টেশনে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার নাহিদুন্নবী বলেন, "চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রায় প্রতি মাসেই সাধারণ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত ৬টি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০২৩ সালের প্রথম ই-অকশন।"
নিলামে ওঠা পণ্যগুলো নানা কারণে আমদানিকারকরা খালাস করেনি। এছাড়াও, চোরাচালান, জালিয়াতি, মিথ্যা ডিক্লারেশনের মাধ্যমে অন্যান্য পণ্য আমদানি বা শুল্ক ফাঁকির মতো সমস্যার কারণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কিছু পণ্যের খালাস স্থগিত করে দেয়।
প্রবিধান অনুসারে, ৩০ দিনের মধ্যে এই পণ্যগুলো খালাসের জন্য একটি নোটিশ জারি করা হয়। যদি আমদানিকারকরা এই সময়ের মধ্যে তাদের পণ্য নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ পণ্যগুলো নিলামে তুলতে পারে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের অক্টোবরে অনলাইন নিলাম চালু করা হয়।
২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় পরবর্তী ই অকশন। এরপর ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর, ২০২২ সালের ১৩ জুন ,২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে ই-অকশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।