রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ: পরিকল্পনা মন্ত্রী
কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ভাসানচর শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে জাপানের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
সভা শেষে মন্ত্রী বলেন, "জাপান আমাদের ভালো বন্ধু। মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাই বাংলাদেশে অবস্থানরত ১২ লাখ রোহিঙ্গা সদস্যদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে তাদের সহায়তা চেয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, "জাপান আমাদের মেট্রোরেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতে রেলসহ অন্যান্য খাতেও সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।"
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, "আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবো। সেখানকার মানবিক সহায়তার পর্যালোচনা করে জাপানের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।"
এছাড়া, দেশে অবস্থানরত জাপানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও আলোচনায় বসবে প্রতিনিধিদল। এ সময় তারা দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উন্নত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
ডিজিটালাইজেশন, সামাজিক নিরাপত্তাসহ দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
জাপনের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- নাকানিশি ইউসুকে, ডিরেক্টর অফ দ্য কমিটি অন জেনারেল অ্যাফেয়ার্স, হাউস অফ কাউন্সিলরস; ইমাই এরিকো, ডিরেক্টর অব দ্য কমিটি অন এডুকেশন, কালচার, অ্যান্ড সায়েন্স; মিউরা নোবুহিরো, চেয়ারম্যান অফ দ্য স্পেশাল কমিটি অন ডিসাস্টার, হাউস অফ কাউন্সিলরস; মিনাগাওয়া কেনিচি, চিফ রিসার্চার, রিসার্চ অফিস অফ দ্য স্ট্যান্ডিং কমিটি অন জেনারেল অ্যাফেয়ার্স, হাউস অফ কাউন্সিলর এবং নিশিও মাসুমি, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, সেকেন্ড ডিভিশন, কমিটি ডিপার্টমেন্ট, হাউস অফ কাউন্সিলরস অফ দ্য গভার্মেন্ট অফ জাপান।