পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে প্রথম ট্রায়াল চালান শেষ করলো পরীক্ষামূলক ট্রেন
ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশনে পৌঁছেছে পরীক্ষামূলক ট্রেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রগ্রেস রেল লোকোমোটিভস ইনক দ্বারা সরবরাহকৃত নতুন এই লোকোমোটিভ সাতটি বগি নিয়ে আজ (৭ আগস্ট) সকাল ১০টা বেজে ৭ মিনিটে যাত্রা শুরু করে ১২টা ১৮ মিনিটে ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে পৌঁছায়।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনসহ রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও কমিটির একাধিক সদস্য, শরীয়তপুর ও ফরিদপুরের স্থানীয় সংসদ সদস্যরা এ ট্রেনে ভ্রমণ করছেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির ছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের (সিআরইসি) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ট্রায়াল রানের মাধ্যমে নবনির্মিত ৮২ কিলোমিটার রেল ট্র্যাকের পুরো পথে প্রথমবারের মতো ট্রেন চললো।
রেলওয়ে কর্মীরা জানান, কমলাপুর থেকে ভাঙ্গা পৌঁছাতে দুই ঘণ্টার চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগবে।
এর আগে ৪ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত ট্রেন চালানো হয়।
২০১৬ সালে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) দ্বারা অনুমোদিত হয়।
৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকার অনুমানকৃত এ প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১ হাজার ৩৭ কোটি টাকা দিচ্ছে।
এই প্রকল্পের আওতায় লুপ লাইনসহ মোট ২১৫.২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে।
তিন ধাপে রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গেন্ডারিয়া-মাওয়া অংশের ৩৭ কিলোমিটার ও মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের ৪২ কিলোমিটারের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ৮৭ কিলোমিটার ভাঙ্গা-যশোর অংশের কাজ এখন পুরোদমে চলছে।
সম্পূর্ণ ঢাকা-যশোর রেলওয়ে প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত এ রেললাইন সংলগ্ন ২০টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে ১৪টি স্টেশন নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে এবং বিদ্যমান স্টেশনগুলোর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প শেষ হলে, ট্রেনগুলো ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম হবে।
আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন।