সিইপিএ নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) মধ্যে পণ্য পরিষেবা ও বাণিজ্য পরিচালনার পাশাপাশি বিনিয়োগের সুরক্ষা ও অগ্রগতির জন্য একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী।
উন্নয়ন সহযোগিতা প্রকল্প বাস্তবায়নে সন্তোষ প্রকাশ করে তারা পরবর্তীতে সুবিধাজনক তারিখে তিনটি প্রকল্পের (আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগ, মৈত্রী পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২ এবং খুলনা-মোংলা রেল সংযোগ) যৌথ উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে দুই নেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ লিডারস সামিটে অংশগ্রহণের জন্য অতিথি দেশ হিসেবে ভারত সফর করছেন।
আঞ্চলিক পরিস্থিতির বিষয়ে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি লোককে আতিথেয়তা করার জন্য বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন এবং শরণার্থীদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের প্রতি সমর্থন, সমাধানের জন্য ভারতের গঠনমূলক ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানিয়েছেন।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে, সম্প্রতি বাংলাদেশের ঘোষিত ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুককে স্বাগত জানিয়েছে ভারত।
নেতারা তাদের বিস্তৃত সম্পৃক্ততা জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন।
দুই নেতা রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, পানিসম্পদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পুরো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ অঞ্চলের বর্তমান উন্নয়ন এবং বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়।
দুই নেতা চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার এবং ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন চালু করার চুক্তিকে স্বাগত জানান।
তারা আইএনআর-এ (রুপি) দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিষ্পত্তি কার্যকর করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং উভয় দিকের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে ব্যবস্থাটি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেন।
শেখ হাসিনা ভারতের সরকার ও জনগণের আতিথেয়তার জন্য মোদিকে ধন্যবাদ জানান।