আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রেলপথটির বাংলাদেশ অংশে চলে একটি খালি কনটেইনার ট্রেন। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সফল হওয়ায় শীঘ্রই রেলপথটির উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
হলুদরঙা তিনটি খালি বগি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে কনটেইনার ট্রেনটি।
ভারতের সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত ২০ মিনিটের যাত্রা অনেকটা সফলভাবেই সম্পন্ন করে ট্রেনটি। ঘণ্টায় গতিবেগ ছিল ৩০ কিলোমিটার। মূলত রেলপথে একাধিক বাঁক থাকায় সীমিত গতিতে ট্রেন চালানো হয়।
প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক রুটের ট্রেন চালাতে পেরে উচ্ছ্বসিত লোকোমাস্টার সাজু কুমার দাস বলেন, "আমি ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন পরিচালনা করি। যাত্রা পথে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ দেখতাম। সেই রেলপথে ট্রেন চালানোর দায়িত্ব পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত। এটি আমার কাছে অনেকটা স্বপ্নের মতো।"
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু করে। ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলপথের বাংলাদেশ অংশ ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। করোনা মহামারিসহ নানা সংকটে দেড় বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে পাঁচ বছরেরও বেশি।
টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শরৎ শর্মা বলেন, প্রকল্পের ৯৮ ভাগ কাজ শেষ। এখন কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবনের ফিনিশিং কাজ চলছে। তবে উদ্বোধনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছে রেলপথ। এই রেলপথে ৭৯ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে যেহেতু বাঁক বেশি তাই হয়তো সম্পূর্ণ গতিতে ট্রেন চালানো হবে না।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া জানান, "সফলভাবেই ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। এখন উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত আছে রেলপথটি। তবে উদ্বোধনের তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। রেলপথটি চালু হলে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।"