সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি
সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা দেশের দুটি সংগঠন পৃথক অনুষ্ঠানে নিজেদের দাবি তুলে ধরেছে। এদের মধ্যে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, ক্ষমতাসীন দলের একটি সুবিধাবাদী অংশ পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি করছে, যা সড়কে শৃঙ্খলা আনয়নের প্রধান বাধা।
অন্যদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির দাবি, দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা এবং আহতকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
শনিবার রাজধানীতে আলাদা সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এসব দাবি করে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা চরমভাবে বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কোনো উদ্যোগই পুরোপুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
তিনি যোগ করেন, "সড়ক পরিবহন খাতে ক্ষমতাসীন দলের সুবিধাবাদী গোষ্ঠীই সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা। তারা নানা অজুহাতে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন করতে দিচ্ছে না। এই সুবিধাবাদী গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে সড়ক পরিবহন খাতে অব্যবস্থাপনা টিকিয়ে রাখে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তখন সেই দলের লোকজন সড়ক পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে।"
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য 'ইন্ডিপেনডেন্ট ফান্ড' গঠনের প্রস্তাব করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, "বর্তমানে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুসারে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ও আহতদের ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে। সেটি বাড়িয়ে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকা এবং আহতকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।"
এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির আবেদন জমাদানের সময়সীমা দুর্ঘটনার তারিখ থেকে ১ মাসের পরিবর্তে নূন্যতম ১ বছরের মধ্যে আবেদন করার সুযোগ রাখার, পাশাপাশি দুর্ঘটনায় হতাহতদের সচেতন করতে আবেদনের বিষয়ে থানা, হাসপাতাল ও বিভিন্ন বাস টার্মিনালে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ব্যবস্থা করার দাবি তার।
সংগঠনটি জানিয়েছে, প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৮ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। দেশের কর্মক্ষম ব্যক্তিরাই সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে। দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তি এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের আর্থসামাজিক ক্ষতি হচ্ছে।