চিনির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে
বাজারে বেড়েছে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম। প্যাকেটজাত চিনির দাম গায়ে ১৩৫ টাকা লেখা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে।
এক সপ্তাহ আগে চিনির কেজি ছিল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় চিনি বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কল্যাণপুর ও কারওয়ানবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
কল্যাণপুরে চিনি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, "হঠাৎ করে পাইকারি বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনি ১০-১৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।"
১০ দিন আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চিনি আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে অর্ধেক করলেও বাজারে পণ্যটির দাম কমেনি।
এমনকি বেশি দাম দিয়েও অনেক ক্ষেত্রে চিনি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে বেশির ভাগ খুচরা দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না চিনি।
ঠিক তেমনি একজন ক্রেতা মোহম্মদ হানিফ। তিনি রামপুরা থেকে কারওয়ান বাজারে এসেছেন। তাকে একের পর এক দোকানে চিনি খুঁজতে দেখা যায়। হানিফ বলেন, "পাঁচটি দোকানে দেখলাম; কিন্তু চিনি পেলাম না।"
কারওয়ানবাজারের মেসার্স সালমান ট্রেডার্স এর বিক্রেতা মোহম্মদ আবদুল্লাহ জানান, গতকাল তাদের চিনি শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, "চিনির প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে ১৩৫ টাকা কেজি। তবে পাইকারি কিনতে হয় ১৩৭ টাকা। তাই এখনও চিনি দোকানে রাখিনি। অনেক সময় ম্যাজিস্ট্রেট এসে প্যাকেটের গায়ের দামের চেয়ে বেশি দাম রাখায় জরিমানা করে। তাই অনেক দোকানে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না।"
কারওয়ান বাজারে ১৫টি দোকান ঘুরে পাঁচটি দোকানে চিনি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কারওয়ানবাজারের আনোয়ার ট্রেডার্স এর বিক্রেতা মোহম্মদ শামিম হোসেন বলেন, "আমাদের খোলা চিনি কেনা ৩৭ টাকা করে। এরপর দোকানে আনতে পরিবহন খরচ আছে। তাই আমরা ১৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করি।"
গত এক সপ্তাহে পাইকারিতে ৫০ কেজির বস্তা প্রতি চিনির দাম বেড়েছে ৪৫০ টাকা। এখন ৫০ কেজির বস্তা ৬৮৫০ টাকা। কিন্তু এক সপ্তাহ আগেও এর দাম ছিল ৬৪০০ টাকা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, এক বছর আগে এই সময় চিনির দাম ছিল প্রতি কেজি ১০৫ থেকে ১১৫ টাকা।