১ জানুয়ারি রেল সেবা শুরু হচ্ছে না যশোর-মোংলা রুটে
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের ঘোষণা অনুযায়ী, 'খুলনা-মোংলা বন্দর রেলপথ নির্মাণ' প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা নতুন লাইনে বাণিজ্যিক রেল সেবা নতুন বছরের প্রথম দিনে চালু হচ্ছে না।
১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা-কক্সবাজার সেকশনে নতুন একটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন চালুর সিদ্ধান্তও কার্যকর হচ্ছে না বলে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তাঁরা বলেছেন, প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা রেলপথ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের কাছে হস্তান্তর না হওয়ায় খুলনা-যশোর-মোংলা লাইনে ট্রেন পরিচালনা শুরু করা যাচ্ছে না।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন ডেকে নতুন বছরের প্রথম দিনে খুলনা-যশোর-মোংলা লাইনে ১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চালানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। ৭০০ আসনের ট্রেনের সময়সূচীও ঘোষণা করেছিলেন তিনি। ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে একটি নতুন আন্তঃ ইন্টারসিটি ট্রেনেরও সময়সূচী ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেছিলেন, নতুন ট্রেন পরিচালনার এই প্রস্তাবের সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী অফিসে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
ঘোষণা অনুযায়ী ট্রেন পরিচালনা শুরু না করার কারণ জানতে মুঠোফোনে কল দেয়া হলে মন্ত্রী রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক ট্রাফিক (পরিবহণ) মো: মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকা-কক্সবাজার লাইনে নতুন ট্রেন পরিচালনা এই মূহূর্তে শুরু করা যাচ্ছে না। আর খুলনা-যশোর-মোংলা লাইনে ট্রেন পরিচালনার নির্দেশনা রেলওয়ে পশ্চিম জোনে পাঠানো হয়েছে। লোকোমোটিভ, কোচ আর জনবলের প্রাপ্যতা অনুযায়ী তারা নতুন ট্রেন চালু করবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, প্রকল্প থেকে এখনও রেললাইন বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। লাইন বুঝে পাওয়ার আগে ট্রেন চালু সম্ভব নয়।
জানতে চাইলে, 'খুলনা-মোংলা বন্দর রেলপথ নির্মাণ' প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, লাইনে ঠিকাদারের কিছু কাজ এখনও বাকী আছে। কাজ শেষে রেলপথ পরিদর্শন অধিদফতরের পরিদর্শন শেষে তাদের অনুমোদন সাপেক্ষে ট্রেন পরিচালনা শুরু করা যাবে।
নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি মনে করেন।
মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ চালু করে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক বাণিজ্যে গতি বাড়াতে ২০২০ সালে ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা ব্যয় ধরে নেওয়া প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০১৩ সালে। কয়েক দফায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যয় উন্নীত হয়েছে ৪ হাজার ২২৬ কোটি টাকায়।
গত নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা রেলপথ উদ্বোধন করেছিলেন।