পাটুরিয়ায় পণ্যবাহী ৯টি ট্রাক নিয়ে ডুবে গেল ফেরি, উদ্ধারকাজ চলছে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৯টি পণ্যবাহী ট্রাক ও স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে মাঝ নদীতে রজনীগন্ধা নামে একটি ফেরি ডুবে গেছে। আজ বুধবার সকাল ৮টা ১৬ মিনিটের দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ৫নং ফেরিঘাট এলাকায় ফেরিটি ডুবে যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, ফেরিটিতে সাতটি ছোট ট্রাক ও দুইটি বড় ট্রাক ছিল।
তিনি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে রাত আড়াইটা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজীরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বুধবার সকালেও এটি চালু হয়নি।
ফেরিতে অবস্থানরত ট্রাকের চালক হোসেন জানান, ফেরিটি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রাত সোয়া ১২টার দিকে নয়টি ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে ফেরিটি পাটুরিয়া ঘাটের কাছেই নোঙর করে। পানি উঠে সকালে ফেরিটি ডুবে যায়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম জানান, রাত থেকেই এ নৌ-রুটে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। এতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। পরে রাত দেড়টার দিকে কুয়াশার মাত্রা আরও ঘন হয়। এতে ফেরি চলাচলের মার্কিং পয়েন্ট ও বিকনবাতির কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। পরে দুর্ঘটনা এড়াতে রাতে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
খালেদ নেওয়াজ জানান, ঘটনার পর থেকে ফেরির দ্বিতীয় শ্রেণির ইঞ্জিনমাস্টার নিখোঁজ আছেন। ফেরিটি উদ্ধারে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা কাজ শুরু করেছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ'র আরেকটি উদ্ধারকারী জাহাজ উদ্দীপন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। যেহেতু ট্রাকগুলো ছোট, সেহেতু ট্রাকগুলো উদ্ধার করা গেলে ফেরিটিকে ঘাটে টেনে নিয়ে আসা যাবে বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, এ পর্যন্ত ফেরির ১০ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জনন সাঁতরে তীরে উঠে আসেন। অন্য ছয়জনকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে।
ফেরিতে কতজন যাত্রী ছিলেন তা এখনো জানা যায়নি। বর্তমানে উদ্ধার অভিযান চলছে।
এদিকে আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একদল সদস্য উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, ফেরিটি উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও প্রত্যয় সেখানে যাচ্ছে।