চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু: উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত
উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। গতকাল (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ঠান্ডা বাতাস এবং কুয়াশায় আচ্ছন্ন আকাশের কারণে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, "ঠান্ডা বাতাস বইছে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে। আর আকাশ কুয়াশার চাদরে মোড়া রয়েছে। হিমশীতল বাতাসের কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝড়ছে। একদিনের ব্যবধানে জেলায় ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে।"
তিনি বলেন, "বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।"
জাহিদুল জানান, হাড়কাপানো বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "জেলার ওপর দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। সন্ধ্যার পর থেকে শীতল বাতাস বইছে। রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে।"
শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে জেলার খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ। সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। সড়কে মানুষের চলাচলও তুলনামূলক কম। শীত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে মানুষ খড়-কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উজিরপুর গ্রামের দিনমজুর নওশাদ আলি বলেন, "ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজের জন্য চুয়াডাঙ্গায় আসতে হয়। এত শীতে সাইকেল চালিয়ে শহরে পৌঁছানো কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়া, হাত অবস হয়ে পড়ে।"
তিনি বলেন, "কাজও তেমন একটা নেই। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না শীতের কারণে। সেই জন্য কাজ পাচ্ছি না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।"
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ট্রাক চালক জাকির হোসেন বলেন, "এ এলাকায় চরম শীত পড়ছে। তেমনি কুয়াশা রয়েছে আকাশে। কুয়াশার কারণে গাড়ি চালানো কষ্ট হয়ে পড়ছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলার জন্য।"