বিদেশ ভ্রমণের আগে সব কর্মচারীকে এমডি, সিইওর অনুমতি নিতে হবে: বিমান
এখন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ককপিট ক্রুসহ ককপিট ক্রুসহ সব কর্মীকে যেকোনো কারণে বিদেশ ভ্রমণের আগে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নতুন এ নিয়মের ঘোষণা দেয় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থাটি।
বিমানের এমডি এবং সিইও শফিউল আজিম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, এ ঘোষণার আগে এতদিন বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের বিদেশ সফর অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের হাতে।
বৃহস্পতিবার জারি করা এক প্রশাসনিক আদেশে বিদেশ ভ্রমণের জন্য তাদের সব কর্মচারীর জন্য কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ককপিট ক্রুসহ বিমানের সব কর্মচারী প্রতি দুই বছরে একবার নিজের উন্নত চিকিৎসার জন্য কিংবা পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সঙ্গী হিসেবে কিংবা ধর্মীয় কারণে দেশের বাইরে যেতে পারবেন। এছাড়া বছরে দুইবার নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে কিংবা পর্যটন গন্তব্যে যেতে পারবেন।
ভ্রমণের আগে বিমানের কর্মচারীদেরকে সংশ্লিষ্ট অ্যাডমিন সেলে আবেদন করতে হবে। তারপর দেশের বাইরে সফরের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ছাড়পত্র এবং অনুমোদন পেতে আবেদনটি নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রবিষয়ক বিভাগে যাবে।
সম্প্রতি বিমানের দুই কর্মকর্তা নিখোঁজ হওয়ার পর নতুন এই নিয়মের ঘোষণা এল।
বিমানের নিখোঁজ দুই কর্মকর্তা হলেন, সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাণিজ্যিক তত্ত্বাবধায়ক সোহান আহমেদ। এর মধ্যে আনোয়ার হোসেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গত ৭ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিজি-৩০৫ ফ্লাইটে কানাডা যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ আছেন। আর সোহান আহমেদ গত ২৪ অক্টোবর থেকে আর কাজে আসছেন না।
বুধবার বিমান জানিয়েছে, দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১৫ জানুয়ারি দুই নিখোঁজ কর্মকর্তার তথ্য জানিয়ে বিমানের পক্ষ থেকে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডিতে বলা হয়, আনোয়ার হোসেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই কানাডায় পালিয়ে গেছেন। এতে বিমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।