দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা এখন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: কাদের
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করাই এখন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, 'এখন আমাদের (সরকারের) মূল প্রায়োরিটি হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ। এ বিষয়টাই বড় চ্যালেঞ্জ।'
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, 'এ সমস্যাগুলো এখন জনগণের নিত্যদিনের সমস্যা, কাজেই প্রথম চ্যালেঞ্জ এখন এটাই।'
বাজারদর নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীরা কথা রাখবে কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'শুধু হুমকি-ধমকি দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। এখানে অ্যাকশন নিতে হবে, কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে পজিটিভ অ্যাকশনে যেতে হবে।'
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আবারও কালো পতাকা মিছিলের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার সুর শোনাচ্ছে। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ক্ষমতা কারও নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এসে যে ভুল করেছে তার খেসারত দিতে হবে।
কাদের বলেন, সংবিধান ও জাতীয় সংসদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামীকাল থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে জনগণ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছে, যা দেশে গণতন্ত্রের নতুন বিজয়।
বিপুল সমর্থনের জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এই আওয়ামী নেতা বলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ রাজপথে রাজনৈতিক ইস্যু মোকাবিলা করবে। দেশের স্বার্থে কোনো অশুভ শক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ইতিহাস ডিঙিয়ে তারা (বিএনপি) যে বিকৃত তথ্য বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর অপপ্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল, তাদের সে অপচেষ্টা সফল হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং জাতীয় পিতা বঙ্গবন্ধু দেশের বিদেশে সসম্মানে উচ্চারিত একটি নাম।'
ওবায়দুল কাদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'মঈন খান সাহেবদের দল ৭৫'র বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে তারপর ৩ নভেম্বর, একুশে আগস্টে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে হামলার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকার, আল বদরের দল।'
তিনি বলেন, 'গর্হিত বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঈন খানকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।'
একবার একেকটা নিয়ে বিএনপি অপপ্রচার করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, দেশের কারাগারগুলোতে মোট ১০ হাজারের মতো বন্দি আছে। অথচ তারা আজকে জাতিসংঘ ও মার্কিন কংগ্রেসমেনের কাছে অপপ্রচার করেছে। মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে তাদেরকে দিয়ে বলাচ্ছে, বাংলাদেশে ২৫ হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী জেলে আছে, তাদের মুক্তি দিতে হবে।
স্থানীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত দলীয় কোন্দল নিরসনের জন্য, নাকি বিএনপির যারা নির্বাচনে আসতে পারেনি, তাদেরকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য– সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি যদি বলি কোন্দল নিরসনের জন্য আমাদের কৌশল নিতে হয়েছে। ইলেকশনে আমরা কৌশল নিয়েছি, স্বতন্ত্রদের ইলেকশন করতে দিয়েছি। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিল তারা নির্বাচন করেছে। সে কৌশলের তো বিজয় হয়েছে।'
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।