ফুটফুটে শিশু আর মায়ের লাশ মর্গে, মেলেনি পরিচয়, নিতে আসেনি কোনো স্বজন
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মর্গের মেঝেতে শুইয়ে রাখা হয়েছে আড়াই থেকে তিন বছর বছর বয়সী একটি মেয়েশিশু ও তার মায়ের মরদেহ।
শিশুটির পরনে ধূসর রঙের হাফ হাতা গেঞ্জি আর নীল পায়জামা। শিশুটির হাতে, মুখে ও জামাকাপড়ে ছাই লেগে আছে। পায়ে জুতা নেই, দুই পায়ে দুটো মোজা। বাঁ পায়ের মোজাটি অর্ধেক খোলা। পাশেই শুইয়ে রাখা হয়েছে তার মায়ের মরদেহ।
শিশুটির মায়ের পরনে লাল জামা ও হলুদ সালোয়ার-কামিজ পরা। দেখে মনে হয়, মেয়েকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে বা বেড়াতে বের হয়েছিলেন। তা-ই যদি হয়, তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে গতকালই ছিল তাদের শেষ বেড়াতে বের হওয়া।
তাদের লাশ শনাক্ত করতে কোনো স্বজন আসেনি বলে জানান ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। ফলে পরিচয়ও জানা সম্ভব হয়নি।
এছাড়াও আরো দুটো লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদেরও কোনো স্বজন এখন পর্যন্ত লাশ নিতে আসেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দশটায় গ্রিণ কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে অগুনের সূত্রপাত ঘটে। ঢাকা জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা যায়, গতকালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ৪৬ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এরপর ভোর ৫ টা থেকে মরদেহ পরিচয় শনাক্ত ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। বেলা পৌনে ১২ টা পর্যন্ত মোট ৪০টি মরদেহর পরিচয় সনাক্ত হয় এবং হস্তান্তর হয় ৩৫ টি মরদেহ।