বাড়তি ভাড়া নিয়ে বিতর্ক: আশুলিয়ায় যাত্রীদের মারধরে বাসচালক, কন্ডাক্টর নিহত
ঢাকার আশুলিয়ায় ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে যাত্রীদের মারধরের শিকার হয়ে ইতিহাস পরিবহনের একজন বাস চালক ও একজন কন্ডাক্টর নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ইপিজেড এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, বাসটিতে ড্রাইভার, হেলপার ও কন্ডাক্টরসহ ৩ জন স্টাফ ছিলেন। দুপুরে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে যাত্রীদের সাথে কন্ডাক্টর ও চালকের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত যাত্রীরা তাদের মারধর করে।
"পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আশুলিয়ার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চালক ও কন্ডাক্টর দুজনই মারা যান," যোগ করেন তিনি।
নিহতরা হলেন– ইতিহাস পরিবহনের চালক গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা (২৬) ও একই বাসের কন্ডাক্টর ময়মনসিংহ ফুলপুর এলাকার বাসিন্দা হৃদয় (৩০)। তারা রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বসবাস করে ইতিহাস পরিবহনে চালক ও কন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করতেন।
বাসটিতে থাকা হেলপার রহমানের বরাত দিয়ে বাসের মালিক খন্দকার হেমায়েত হোসেন মুঠোফোনে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, বাসটি দুপুরে মিরপুর-১৪ থেকে গাজীপুরের চন্দ্রার দিকে যাচ্ছিল। মিরপুর-১ থেকে বাসে একজন যাত্রী ওঠে, যিনি নিজেকে শিক্ষার্থী পরিচয় দেন। ঈদের কারণে কন্ডাক্টর যাত্রীদের থেকে ৫-১০ টাকা বেশি ভাড়া নিচ্ছিলো। বিষয়টি নিয়ে ওই যাত্রীর সাথে কন্ডাক্টরের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই যাত্রী ফোনে লোকজন খবর দেয়।
দুপুর আনুমানিক ২ টার দিকে বাসটি আশুলিয়া থানার সামনে পৌঁছালে ১০/১২ জন লোকজন বাসটি থামানোর নির্দেশ দেয়। কিন্তু চালক বাস না থামিয়ে এগিয়ে যায়। এরপর বাসটি পুরাতন ইপিজেড এর সামনে পৌঁছালে সিগনালে আটকা পড়ে। এসময় ১৫/২০ জন লোকজন বাসটিতে উঠে চালক ও কন্ডাক্টরকে মারধর করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান।