কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার প্রায় ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়। এবার ৪ মাস ১০দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হলো।
সকাল ১০টা নাগাদ এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টাকা গণনার কাজ চলছিল।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "রোজার কারণে এবার কিছুটা দেরিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। দানবাক্সগুলো থেকে টাকাগুলো ২৭টি বস্তায় ভরা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং মাদরাসার ছাত্ররা টাকা গণনার কাজ করছেন। সন্ধ্যা নাগাদ টাকা গণনার কাজ শেষ হবে। আশা করা হচ্ছে অতীতের চেয়ে এবার আরও বেশি টাকা পাওয়া যাবে।"
এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৯ ডিসেম্বর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া যায়, যা ছিল রেকর্ড পরিমাণ। এছাড়া, প্রতিবারই কিছু বৈদেশিক মুদ্রা এবং স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায় দানবাক্সগুলোতে।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৩ সালে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো চারবার খোলা হয়েছিল। ওইবছর সবমিলিয়ে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। পাশাপাশি হীরা, স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায় দানবাক্সে।
জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ জানান, "দানবাক্স থেকে পাওয়া অর্থ পাগলা মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানা এবং বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।"