অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ট্রেনের নিচে পা চলে গিয়ে আহত হওয়া অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে দেখে আসার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে পায়ের আঙুল হারানো অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। তার শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখানে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন, আনু মুহাম্মদের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। আমি তাকে সবকিছু বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ওনার চিকিৎসার বিষয়ে সর্বোচ্চ যা করা যায়, তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি, আমাদের মেডিক্যাল বোর্ড হবে। যা সিদ্ধান্ত হবে, আমরা ওনাকে জানাব।'
'আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আনু মোহাম্মদ যেন ওনার কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে পারেন। সেজন্য যা যা করার, আমরা করব। আমরা কিছু পরীক্ষা করব দ্রুত এবং পরিকল্পনা করে খুব দ্রুত অপারেশন করার ব্যবস্থা নেব,' বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, আনু মুহাম্মদের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। খুব দ্রুতই তার কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এরপর তার পায়ে অপারেশন করা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল (২১ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বাম পায়ের আঙুল কেটে যায়। বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুর থেকে ফেরার ট্রেন থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, তার বাম পায়ের সবকটি আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে এবং তার ডান পায়ের বুড়ো আঙুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আনু মুহাম্মদদের গাড়িচালক টিবিএসকে বলেন, 'স্যার [আনু মুহাম্মদ] দিনাজপুরের ফুলবাড়ি গিয়েছিলেন, সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে খিলগাঁও রেলক্রসিংয়ে ট্রেনটি কিছু সময়ের জন্য থামে। তখন অনেকেই ওখান থেকে নেমে যান। স্যারও সে সময় নামার চেষ্টা করেন, কিন্তু তখনই ট্রেনটি চলতে শুরু করলে তার পা ট্রেনের নিচে চলে যায়।'