দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি: আনু মুহাম্মদ
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির অন্যতম সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ৷
তিনি বলেন, 'দ্রব্যমূল্য আসলে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই৷ তেল, ডিম, পেঁয়াজের মতো পণ্যের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাত্র কয়েকটা কোম্পানি এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে৷ অনেক সময় কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়৷ এই জায়গাটায় সরকারের যথাযথ ভূমিকা দেখা যায়নি৷'
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত 'অন্তর্বর্তী সরকারের আশু করণীয়' প্রস্তাব ১০০ দিনে কতটা বাস্তবায়ন হলো- শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন৷
গত ৫ অক্টোবর অধিকার কমিটির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১৩ দফা দাবি জানানো হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে এই ১৩ দফা প্রস্তাব পড়ে শোনান গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহা মির্জা৷ এরপর অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ সেগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন৷
এসময় আনু মুহাম্মদ বলেন, 'শহীদ, নিখোঁজ ও আহতদের পূর্ণ তালিকা এখনও কেন প্রকাশিত হয়নি, তা আমাদের বোধগম্য নয়৷ শহীদ ও আহতদের পরিবারের দায়িত্ব এখনও গ্রহণ করা হয়নি৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হয়েছে৷ কিন্তু মামলাগুলো সুনির্দিষ্ট না হওয়ার ফলে এটা সম্পর্কে আমাদের সংশয় আছে যে কতটা হবে৷ ১৫ বছরে দায়ের হওয়া মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা এখনও প্রত্যাহার হয়নি৷ সংবিধান সংস্কার কমিশন অচিরেই একটা রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থিত করবে৷ তার ভিত্তিতে জনমত যাচাই করে একটা চূড়ান্ত রূপরেখা আমরা দেখতে পাব৷ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আরও অনেক কাজ করার বাকি আছে৷ ইতোমধ্যে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছে৷ এগুলো সরকারের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত৷'
তিনি বলেন, 'ব্যাংক লুট, অর্থপাচার বা শেয়ার কারসাজির বিষয়ে বিগত সরকারের সময়ে হওয়া দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে৷ সেখানে অপরাধী হিসেবে সুনির্দিষ্টভাবে যাদের শনাক্ত করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও ছিলেন৷ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কীভাবে বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেল, সে বিষয়ে বর্তমান গভর্নরের পরিষ্কার বক্তব্য দাবি করছি৷ বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবির বিষয়ে সরকারের ভূমিকা ও দৃষ্টিভঙ্গি আগের সরকারের মতোই৷ তাদের ওপর নির্ভরশীল অর্থনৈতিক কাঠামো অব্যাহত থাকলে শেখ হাসিনার সময়ের অর্থনৈতিক মডেলের কোনো পরিবর্তন হবে না৷ এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনেক জায়গায় নতুন করে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। নতুন একটা চাঁদাবাজ দল আবার আবির্ভূত হচ্ছে৷ হাটবাজারে ইজারাদারদের জুলুম এখনো বন্ধ হয়নি৷'
এ ব্যাপারে সরকারের সক্রিয় ভূমিকা দাবি করেছেন তিনি৷
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, 'এবারের দুর্গাপূজা মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে৷ তবে দলগত সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজটা হয়নি৷ এটা না হওয়ার কারণে ভারতের মোদি সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার করছে৷ সরকার এ বিষয়ে যথাযথ তথ্য প্রকাশ ও এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ভারত কিংবা পতিত সরকারের পক্ষে এই সুযোগ নেওয়া সম্ভব হবে৷ দলগত সহিংসতার ব্যাপারে সরকারের আরও সরব ও সক্রিয় অবস্থান নেওয়া উচিত৷ সাইবার নিরাপত্তা আইন এখনও পুরোপুরি পাতিল হয়নি, শ্রমিক পরিষেবা বিল এখনও আছে৷ পুলিশ বাহিনী পুনর্গঠনের রূপরেখা নিয়ে কিছু কাজ হলেও যথাযথ ব্যবস্থা হয়নি৷ র্যাব বিলুপ্ত করা কিংবা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জবাবদিহির বিষয়ে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি৷ জনগণের ওপর নজরদারির বিষয়ে এখন পর্যন্ত স্বচ্ছতা আসেনি।'
শ্রমিক প্রসঙ্গে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির অন্যতম সদস্য আনু মুহাম্মদ বলেন, 'ন্যূনতম জাতীয় মজুরি এখনও ঘোষণা করা হয়নি, যা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সম্ভব ছিল৷ শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধে সরকারের আরও সক্রিয় উদ্যোগ দরকার৷ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য শিল্প পুলিশ বাতিল করার প্রস্তুতি বা প্রক্রিয়াটা শুরু করা উচিত৷ চা শ্রমিকদের মজুরি এখনও শেখ হাসিনার নির্ধারিত মানবেতর মজুরিই আছে৷ তাদের ভূমির অধিকার ও বাসস্থানের বিষয়েও আমরা পরিষ্কারভাবে জানি না৷ কৃষিবিষয়ক কোনো কমিশন গঠনের খবর আমরা এখনও শুনিনি৷ কৃষি সংস্কারের জন্য একটা বড় ধরনের উদ্যোগ দরকার৷ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল খোলার ব্যাপারে নীরবতা দেখা যাচ্ছে৷ পাট মন্ত্রণালয়ে নতুন যে উপদেষ্টা এসেছেন, তিনি বা তার ব্যবসায়িক গ্রুপের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ বা বেসরকারিকরণের সুবিধাভোগীদের যোগাযোগ আছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে৷ পাটকলের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বক্তব্য ও অবস্থান আশা করছি৷ অকৃষি খাতে কৃষি জমির ব্যবহার, হাটবাজারে ইজারাদারদের জুলুম এখনো বন্ধ হয়নি৷'
এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান ও নীতিমালা আরও পরিষ্কার করা দরকার৷ রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল চুক্তি নবায়ন না করার প্রতিশ্রুতি সুনির্দিষ্টভাবে বাস্তবায়ন হবে বলে এই সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন আনু মুহাম্মদ৷
তিনি বলেন, '২০১০ সালের যে দায়মুক্তি আইনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার দেশে বহু প্রাণবিনাশী প্রকল্প এবং দেশের জন্য বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ বহু ধরনের চুক্তি সই করেছে৷ সেই আইন বাতিল হয়েছে৷ এই আইনের অধীনে করা প্রকল্পগুলো বাতিলের প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অগ্রসর হবে বলে আশা করি৷ রামপাল-রূপপুরসহ দেশবিরোধী প্রাণবিনাশী প্রকল্প বাতিলের প্রস্তুতি নেওয়া এই সরকারের পক্ষে খুবই সম্ভব৷ আদানির সঙ্গে হওয়া বিদ্যুতচুক্তি বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থবিরোধী৷ এটা অবিলম্বে বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত৷ ফুলবাড়ি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে৷ জাপানের জাইকার সঙ্গে যে মহাপরিকল্পনাটা আছে, সেটা বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ বিপজ্জনক৷ এটা বিদেশি ঋণনির্ভর, আমদানিনির্ভর ও প্রাণবিনাশী৷ আমাদের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার বাপেক্সের মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে গ্যাস অনুসন্ধানের ব্যবস্থা করবে৷ অবিলম্বে জাতীয় সক্ষমতার ভিত্তিতে প্রাকৃতিক গ্যাস ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির সংমিশ্রণে আমাদের জ্বালানি মহাপরিকল্পনা করতে হবে৷ শেখ হাসিনার সময়ে যারা দেশের জন্য সর্বনাশা চুক্তি সই করেছেন, তাদের জ্বালানি অপরাধী হিসেবে বিচারের আওতায় আনতে হবে।'
গত ১৫ বছরে আমাদের শিক্ষাখাত সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে মন্তব্য করে আনু মুহাম্মদ বলেন, 'এখান থেকে বের হওয়ার জন্য আমাদের অনেক কাজ দীর্ঘমেয়াদে করতে হবে৷ কিন্তু এই সরকার এগুলো শুরু করতে পারে৷ এটা হতে পারে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে সারা দেশে ব্যাপকসংখ্যক পাঠাগার স্থাপন৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে।'
স্বাস্থ্য খাত প্রসঙ্গে এই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, 'স্বাস্থ্যরক্ষা ও চিকিৎসাকে একটা সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা এই সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়৷ সংবিধান সংস্কার হচ্ছে৷ আমরা আশা করি, সংবিধানে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা একটা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে থাকবে এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হবে৷ এই সরকার স্বাস্থ্য খাতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে পারতো, কিন্তু আমরা কোনো উদ্যোগই দেখিনি৷ আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট অদক্ষতা বা ব্যর্থতার স্বাক্ষর দেখা গেছে৷ ওষুধের দাম বাড়ছে৷ এই সরকারের পক্ষে সম্ভব ছিল পাবলিক বা সর্বজনের হাসপাতালের মান বৃদ্ধির জন্য সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত সব ব্যক্তি, মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সংসদ সদস্যসহ সরকারি কর্মকর্তাদের সবার পাবলিক হাসপাতালে চিকিৎসা বাধ্যতামূলক করা৷ এই ঘোষণাটা দিয়ে এই সরকার একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।'
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, 'ঢাকা শহর ও দেশের বিভিন্ন স্থান মাঠ ও পার্কগুলো দখল হয়ে আছে৷ এগুলো উন্মুক্ত করাটা এই সরকারের পক্ষে খুবই সম্ভব ছিল৷ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হলে বিকল্প নিয়ে আসতে হবে৷ সংবিধানের রূপরেখায় পাহাড় ও সমতলের সব জাতিগোষ্ঠীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে৷ সারা দেশে স্বৈরশাসনের পতন হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি, যা দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক৷ পার্বত্য চট্টগ্রামে কীভাবে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবং সেখানে হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে আমরা সরকারের সক্রিয় উদ্যোগ দাবি করি৷ পাশাপাশি বিভিন্ন জাতি ও পণ্য পরিবহনে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার দাবি করছি৷ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা কার্যকর করতে হবে৷ পাশাপাশি লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য প্রয়োজন৷ প্রধান উপদেষ্টা বিমানবন্দরে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ লাউঞ্জ উদ্বোধন করেছেন৷ এটা ভালো উদ্যোগ৷ কিন্তু এর পাশাপাশি প্রবাসে গিয়ে শ্রমিকেরা যে বিভিন্ন জালিয়াতি ও অত্যাচারের মধ্যে পড়ছেন, অকালমৃত্যু হচ্ছে, এসব বিষয়ে দূতাবাসগুলো যাতে আরও সক্রিয় উদ্যোগ নেয়, তার জন্য পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আরও সক্রিয় উদ্যোগ দাবি করছি৷'
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পানি কনভেনশনে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুস্বাক্ষর করার পরামর্শ দেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদ৷
তিনি বলেন, 'এই কনভেনশন অনুযায়ী সরকার নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করতে পারে৷ পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব চুক্তি আছে, বিশেষ করে সরকার পতনের কয়েকদিন আগে ট্রানজিটের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার করা বিশেষ কিছু চুক্তি এখনো প্রকাশিত হয়নি৷ এগুলো প্রকাশ করা দরকার এবং চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, জাপান- এই দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কটা স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এই চুক্তিগুলো জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে৷ জনগণের সম্মতি ছাড়া কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় বা জনগণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ চুক্তি করা যাবে না৷ ভারত সরকারেক যে ভূমিকা এখন দেখা যাচ্ছে, নানা রকম মিডিয়া অপপ্রচার ও চাপ সৃষ্টির বিষয়ে সমাধানের প্রধান পথ হচ্ছে সবকিছু জনগণের কাছে প্রকাশ করা৷'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনু মুহাম্মদ বলেন, 'দেশের নির্বাচনব্যবস্থার মধ্যে ধস নেমেছিল৷ ২০০৮ সালের পরে বাংলাদেশে কার্যত আর কোনো নির্বাচন হয়নি৷ ২০১৪ সাল থেকে হাসিনা সরকার ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ অনির্বাচিত সরকার৷ নির্বাচনে যে ধস নেমেছিল, সেটাকে আবার মেরামত-সংস্কার করতে হবে৷ সেটা করে যথাযথভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কাঠামো তৈরি করা এই সরকারের দায়িত্ব৷ সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকার উদ্যোগ নিতে পারবে বলে আমরা মনে করি৷'
সংবাদ সম্মেলন শেষে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির ব্যানারে 'বৈচিত্র্যের ঐক্য'- শিরোনামে আগামী শনিবার বিকেল তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশের সব শ্রেণিগত, ধর্মীয়, লিঙ্গীয়, জাতিগত, পেশাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই কর্মসূচিতে সকল শ্রেণি, পেশা, লিঙ্গ, জাতি ও ধর্মের মানুষকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ ও আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন এবং সদস্য অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা রিতু বক্তব্য দেন৷ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সীমা দত্ত, চলচ্চিত্র নির্মাতা আকরাম খান, গুম থেকে ফিরে আসা মাইকেল চাকমা, মাহতাব উদ্দীন,বাকী বিল্লাহ, রাফিকুজ্জামান ফরিদ, আফজাল হোসেন, অমল ত্রিপুরাসহ অনেকে।