দুই মাস পর ১ মে থেকে মেঘনায় মাছ ধরতে নামছেন জেলেরা
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ মে মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকেই মেঘনায় মাছ শিকারের নামবেন জেলেরা। এর মধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলে ও মৎস্য আড়তদারেরা। মঙ্গলবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের মেঘনাপাড়ে গিয়ে জেলে ও ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়।
লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার এলাকার জেলে শাহীন মাঝি ও মতিন মাঝি বলেন, 'টানা দুই মাস পর নদীতে নামার জন্য জাল এবং নৌকা প্রস্তুত করে রেখেছি। রাতেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে, তখন নদীতে জোয়ার থাকবে, আমরা মাছ ধরতে নেমে পড়ব।'
আলেকজান্ডার সেন্টার খাল ঘাটে প্রায় দুই শতাধিক নৌকা দেখা গেছে। এগুলোর মধ্যে ছোট নৌকাগুলো মেঘনায় মাছ শিকারে যাবে, বড় ট্রলারগুলো যাবে গভীর নদীতে।
তবে জেলেরা জানিয়েছেন, গত ১৫ দিন যাবত নদীতে ব্যাপক বাতাস রয়েছে । সে কারণে মেঘনা উত্তাল রয়েছে। তবুও জেলেরা উত্তাল নদী ডিঙিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মতিরহাট এলাকার জেলে সইজল জানান, 'বুধবার সকাল থেকে মাছ শিকার শুরু করব।' সইজল মাঝি-মাল্লা নিয়ে ১৫ জনের দল প্রস্তত রেখেছেন বলে জানান।
জেলেরা জানান, দুই মাস মাছ ধরতে না পারায় অভাব-অনটন ছিল। এখন নদীতে নামলে কিছু আয়-রোজগার হবে বলে আশা করছেন তারা।
মতিরহাট মাছঘাটের মাছ ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির বলেন, বুধবার থেকেই ঘাটে মাছ বিক্রি শুরু হবে। এ জন্য আড়ৎদাররা সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
জাটকা ইলিশ রক্ষায় দেশের অন্যান্য অভয়াশ্রমের সঙ্গে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
জাটকা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুর জেলার ষাটনল ইউনিয়নের মেঘনানদীর সীমানা পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করেছিল মৎস্য অধিদপ্তর।
অভয়াশ্রমে মাছ শিকার থেকে বিরত রাখতে এবং ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীপুরের ২৮ হাজার ৩৪৪ জন জেলের জন্য মোট ২২৬৭ দশমিক ৫২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। প্রত্যেক জেলে পরিবার দুই মাসের জন্য ৮০ কেজি চাল পেয়ে থাকেন। লক্ষ্মীপুরে সরকারি তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা ৫২ হাজার ৯৫৫ জন।