পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকলে কেউ কারসাজি করতে পারবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকলে কেউ বাজারে কারসাজি করতে পারবে না।
আজ মঙ্গলবার সকাল (৭ মে) রাজধানীর বারিধারায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মে মাসের পণ্য বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, "আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ যাতে পর্যাপ্ত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রোগ্রামের মাধ্যমে এক কোটি পরিবার কম দামে খাদ্য পণ্য কিনতে পারবে।"
তিনি বলেন, "রমজানের সময় ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু আমরা বিশেষভাবে ভারত থেকে টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল, সাধারণ মানুষ যাতে স্বল্পমূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারে। এর ফলে এখনও পেঁয়াজের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে রয়েছে।"
সকল পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় প্রতিনিধিদের প্রতি স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে মানুষ তাদের সুবিধামতো পণ্য কিনতে পারে। তিনি বলেন, জুলাই মাসে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি বলেন, "আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে শুধু যোগ্য ব্যক্তিরা টিসিবি থেকে পণ্য পাবেন। প্রয়োজনে কিছুদিন পরপর তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। আমরা পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজন অনুযায়ী আমদানি করছি। টিসিবি কার্যক্রমের মাধ্যমে পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।"
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে শুল্ক যেন যৌক্তিক পর্যায়ে আনা হয় সে বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, "কিছু পণ্য আমদানিতে শুল্ক নেই। আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে কথা বলছি যেন আগামী বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়।"
টিসিবির মাসিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে, একটি পারিবারিক কার্ডধারী ব্যক্তি দুই লিটার পর্যন্ত সয়াবিন বা রাইস ব্রান অয়েল, পাঁচ কেজি চাল এবং দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন।
প্রতি লিটার সয়াবিন বা রাইস ব্রান অয়েলের দাম পড়বে ১০০ টাকা। টিসিবি প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় এবং মসুর ডাল ৬০ টাকায় বিক্রি করবে। চিনি ও পেঁয়াজ টিসিবির তালিকায় থাকলেও এবার বিক্রি হবে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, বর্তমানে ১ কোটি পরিবারের প্রায় ৫ কোটি মানুষ স্বল্পমূল্যে টিসিবির পণ্য পেয়ে থাকেন। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, "বাছাই সঠিক থাকলে নিম্ন আয়ের কোন মানুষ এ কার্যক্রমের বাইরে থাকার কথা নয়। বাছাই যেন সঠিক থাকে আমরা সে বিষয়ে কাজ করছি। বিতরণ করতে গিয়ে যদি দেখা যায় কোন ব্যক্তি বা পরিবার এ কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য নয় তাহলে তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন আরো পরিবারকে যুক্ত করতে হবে।"
তিনি জানিয়েছেন, সুষ্ঠুভাবে পণ্য বিতরণের জন্য প্রায় ৩০-৩৫ লাখ কার্ড ইতোমধ্যেই যোগ্য পরিবারগুলোকে দেয়া হয়েছে।