পিডিবির কাছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলোর পাওনা ৩৩,১০৯ কোটি টাকা
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে সরকারি ও বেসরকারিসহ বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানির পাওনা ৩৩ হাজার ১০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা— জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
গত এপ্রিল পর্যন্ত পিডিবির কাছে সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন কোম্পানিগুলোর পাওনা ছিল ১০ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলোর পাওনা ১৫ হাজার ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর পাওনা ২ হাজার ৪১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, আদানিসহ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বাবদ পিডিবির কাছে বিভিন্ন কোম্পানির পাওনা ৫ হাজার ২৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
গতকাল (৮ মে) জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের এক প্রশ্নের জবাবে পিডিবির কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া পাওনার এসব তথ্য তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ বলেছেন, বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলোর দায় (ব্যাংকের কাছে) ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা সরকার সম্প্রতি বন্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করেছে।
সংসদে আরেকটি প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহে বিদ্যুতের কিছু সমস্যা হচ্ছে। জামালপুরের দুটো বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ আছে।
নসরুল হামিদ আরো জানিয়েছেন, গভীর সমুদ্রে খনিজ সম্পদ আহরণে ইতোমধ্যেই টেন্ডার (দরপত্র) আহ্বান করা হয়েছে। এক্সনমবিল, শেভরনসহ ১৭টি কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আরেকটি প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন গ্যাসের ঘাটতি ৫০ কোটি ঘনফুট। তবে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গ্যাস পায় না, এমন কোনো লিখিত অভিযোগ তারা পাননি।
তিনি জানিয়েছেন, বাসাবাড়িতে গ্যাসের সমস্যা থাকলেও শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ বজায় রাখার চেষ্টা করছে সরকার।