নিত্যপণ্যের বাজার আরো কঠোরভাবে তদারকির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার আরও কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার (২০ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোনো কোনো পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও দাম বাড়ছে। এরকম অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি বন্ধ করতে বাজারে মনিটরিং কঠোর করতে হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ এপ্রিল মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯.৭৪ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি উঠেছে ১০.২২ শতাংশ হারে, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এদিকে গত ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলার বিনিময় হার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনায় ডলারের আনুষ্ঠানিক দর এক লাফে ৭ টাকা টাকা বেড়ে গেছে। ডলারের বাড়তি দামের কারণে আমদানি করা খাদ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, পোল্ট্রির খাবারের কাঁচামালসহ বিভিন্ন খাদ্যের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ২০ মে'র বাজারদরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রসুন, হলুদ, আদা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, চিনি ও ডিমের দাম বেড়েছে। ঈদুল আজহা সামনে রেখে প্রতিবছরই এসব পণ্যসহ অন্যান্য মসলা পণ্যের চাহিদা বাড়ে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাজার ব্যবস্থায় দুর্বলতার কারণে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বাজারে মনিটরিং জোরদার করার নির্দেশনা দিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু টিবিএসকে বলেন, "সামনে কোরবানির ঈদ। উৎসব আসলেই কিছু ব্যবসায়ীর বাড়তি মুনাফা করার প্রবণতা থাকে। সামগ্রিকভাবে বাজারে যাতে অযৌক্তিকভাবে পণ্যমূল্য না বাড়ে –সে বিষয়ে নজরদারির জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য যেসকল তদারককারী সংস্থা রয়েছে – তারা বাজারে মনিটরিং জোরদার করবে।"
তিনি বলেন, যেহেতু রমজান মাসে মনিটরিংয়ের সুফল পাওয়া গেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, এটা থাকলে বাজারে অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি হবে না। মানুষ স্বস্তিতে থাকবে। সেজন্যই এই নির্দেশনা। আগামী ঈদ উপলক্ষে বাজারে যাতে মনিটরিং তৎপরতা দৃশ্যমান থাকে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যাতে অহেতুক পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে। সেই সাথে সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে, সেটা নিশ্চিত করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।