শাহজালাল বিমানবন্দরে চালু হলো শাটল বাস সার্ভিস
দেশী ও বিদেশি পর্যটক এবং সাধারণ যাত্রীদের বিমানবন্দরে যাতায়াত ও লাগেজ সামগ্রী পরিবহনের সুবিধার্থে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হয়েছে শাটল বাস সেবা।
বুধবার (২৬ জুন) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শাটল বাস সেবার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুরুতে দুটি শাটল বাস দেয়া হয়েছে। বিমানবন্দর শাটল বাস সার্ভিস বিমানবন্দর টার্মিনাল-২ থেকে বিমানবন্দর গোলচত্বর, উত্তরা জসীমউদ্দীন রোড, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ হয়ে আবার বিমানবন্দর গোলচত্বর ও বিমানবন্দর টার্মিনাল-২ এ পৌঁছাবে।
প্রটিটি বাসে মোট ২৫ টি সিট রয়েছে। বাসের ভেতরে যাত্রীদের আলাদা লাগেজ রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এই পরিষেবার মাধ্যমে বিমানবন্দরের যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবেন।
বিআরটিসির কারিগরি দক্ষতায় তৈরি বিশেষ এই বাসটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। যাত্রীদের জন্য থাকছে পর্যাপ্ত লাগেজ পরিবহনের সুবিধা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিনামূল্যে ওয়াইফাই। প্রবীণ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের বাসে ওঠা-নামার বিশেষ ব্যবস্থাও থাকছে।
গাজীপুরে অবস্থিত সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানায় বিআরটিসি নিজস্ব কারিগরি দক্ষতায় প্রাথমিকভাবে এই ২টি বিশেষ শাটল বাসের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, 'সেবাধর্মী সার্ভিসগুলোর দিকে বিআরটিসি দিনদিন এগিয়ে যাচ্ছে। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অনেকেই বিদেশ থেকে এসে বিপাকে পড়েন লাগেজ নিয়ে। গাড়ি পান না তারা।'
তিনি আরো বলেন, 'আমরা যে বাস সার্ভিস দিয়েছি সেখানে তারা ৪০ থেকে ৫০ কেজির লাগেজ নিয়ে উঠতে পারবেন। গাড়িগুলো এয়ারপোর্টেই থাকবে।'
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, 'সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমরা এখন নিজেদের কারখানায়ই এসব গাড়ি প্রস্তুত করছি। অদূর ভবিষ্যতে আর আমাদের গাড়ি আমদানি করতে হবে না। আমরা নিজেরাই উৎপাদন করতে পারবো।'