১৭ বছর আগের ‘কুকুর কাণ্ডে’ ফের মার্কেলের কাছে ক্ষমা চাইলেন পুতিন
১৭ বছর আগের এক ঘটনায় জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের কাছে আবারও ক্ষমা চেয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
২০০৭ সালে রাশিয়ার সোচিতে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের সময় হঠাৎই সেখানে হাজির হয় পুতিনের পোষা কুকুর। সেই কুকুর দেখে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন মার্কেল; দাবি করেছিলেন, তাকে অস্বস্তি বোধ করাতেই নাকি ইচ্ছে করে কুকুরটিকে বৈঠকে আনা হয়েছিল বৈঠকে। যদিও মার্কেলের সে দাবি ভুল বলে মন্তব্য করে, ফের তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে দুর্ঘটনাবশত কুকুরের কামড়ের শিকার হন সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর। এরপর থেকেই কুকুর ভয় পান তিনি। পরে তিনি বলেছিলেন, বৈঠকের সময় হঠাৎ করেই কক্ষে কুকুর নিয়ে এসে তাকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন পুতিন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের স্মৃতিকথা 'ফ্রিডম'- প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি ১৭ বছর আগের ওই 'কুকুর–কাণ্ড' এর কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, 'পুতিন এবং আমি আমাদের বৈঠকের শুরুতে ফটোগ্রাফার ও ক্যামেরাম্যানদের সামনে বসে পোজ দিচ্ছিলাম; যতটা সম্ভব আমি কুকুরটিকে উপেক্ষা করারই চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কুকুরটি আমার আশপাশ দিয়েই ঘুরঘুর করছিল।'
'পুতিনের মুখের অভিব্যক্তি দেখে মনে হয়েছিল, তিনি সেই পরিস্থিতি উপভোগ করছিলেন,' লেখেন মার্কেল।
এর আগে, ২০১৬ সালে জার্মান ট্যাবলয়েড বিল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন জানিয়েছিলেন, এ ঘটনার জন্য ইতোমধ্যেই মার্কেলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
পরে গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কাজাখস্তান সফরের সময় পুতিনকে সাংবাদিকরা আবারও একই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে, পুতিন নিজের অবস্থান ফের পরিষ্কার করেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, মার্কেল যে কুকুর ভয় পান, সেটি তিনি জানতেন না।
"যদি আমি (তখন) এ বিষয়ে জানতাম, আমি এটি কখনই করতাম না," বলেন পুতিন।
"বরং আমাদের সংলাপের জন্য আমি একটি সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলাম।"
"আমি ভেবেছিলাম তিনি (মার্কেল) এটি উপভোগ করবেন। কিন্তু পরে আমি জানতে পারি, তিনি কুকুর ভয় পান। বিষয়টি জানতে পেরে, আমি তার কাছে ক্ষমা চেয়েছি," যোগ করেন পুতিন।
কাজাখস্তানে সাংবাদিকদের মাধ্যমে আরও একবার মার্কেলের কাছে সরাসরি ক্ষমা চেয়েছেন রুশ নেতা।
বলেছেন, "অ্যাঙ্গেলা, আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি আপনাকে কোনোভাবেই কষ্ট দিতে চাইনি। আপনি যদি কখনও (রাশিয়ায়) আসেন— আমি জানি, সে সম্ভাবনা যদিও কম— আমি কোনো অবস্থাতেই আর এমন কিছু করব না।"