আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজউকের পরিচালক ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
প্রায় দুই কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ-২) মোবারক হোসেন ও তার স্ত্রী সাহানা পারভীনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বিকেলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কমিশনের সহকারি পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মামলা দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, রাজউকের পরিচালক মোবারক হোসেন দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে নিজের নামে স্থাবর ও অস্থাবরসহ মোট এক কোটি ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৫৩ টাকা মুল্যের সম্পদের তথ্য থাকার ঘোষণা করেন। যাচাইকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দাখিল করা সম্পদের সত্যতা পাওয়া যায়।
এই সম্পদের বিপরীতে চাকরিকালীন বিভিন্ন খাতের আয় থেকে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় ব্যতিরেকে সঞ্চয় ও ঋণগ্রহণসহ মোট বৈধ উৎসের পরিমাণ পাওয়া যায় ৬৯.৩৯ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য বৈধ উৎসের চেয়ে অতিরিক্ত ৪১.৪৬ লাখ টাকার কোন বৈধ ও গ্রহণযোগ্য উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি।
মো. মোবারক হোসেন জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ৪১.৪৬ লাখ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপর দিকে মো. মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাহানা পারভীনের নামে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, দাখিলকৃত সম্পদ বিরবণীতে তিনি নিজের নামে ৬০.৯ লাখ মূল্যের স্থাবর এবং ১.৩৮ কোটি মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্যসহ সর্বমোট ১.৯৯৭ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দাখিল করেছেন।
তবে সাহানা পারভীনের নামে বর্ণিত সময়ে আয় থেকে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে নীট সঞ্চয়সহ অন্যান্য বৈধ প্রাপ্তিসহ মোট বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৪১ লাখ টাকার বেশি। এক্ষেত্রে সাহানা পারভীনের নামে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৫২ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ভোগ দখলে রাখার সত্যতা পাওয়া গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাহানা পারভীন ও মো. মোবারক হোসেন একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে দেড় কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।