৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, চিত্রনায়ক শান্ত খানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চিত্রনায়ক শান্ত খানের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করা ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (৩ জুলাই) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান সরকার।
মামলার এজাহারে শান্ত খানের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় দুদক শান্ত খান, তার স্ত্রী ও তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদ বিবরণী ২১ দিনের মধ্যে দাখিলের নোটিশ দিয়েছিল। তাকে এ আদেশ পাওয়ার পর থেকে ২১ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুদকের নোটিশ পাওয়ার পরও তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি বা সময় বাড়ানোর আবেদনও করেননি। দুদক আইন অনুযায়ী যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও বলা হয়, অনুসন্ধানে শান্ত খানের নামে মোট ১৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পায় দুদক। এছাড়াও ২০১৮-১৯ করবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ করবর্ষ পর্যন্ত তার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় হিসাব পাওয়া গেছে ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা। সে হিসেবে তার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬ কোটি ৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
এ সম্পদের বিপরীতে অনুসন্ধানে ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা আয়ের উৎসের তথ্য পাওয়া গেছে। বাকি তিন কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে।
তাই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) (ক) ও ২৭(১) ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
এর আগে ২০২২ সালের ১ আগস্ট সাড়ে ৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং প্রায় ৬৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও শান্ত খানের বাবা মো. সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল দুদক।
সেলিম খান চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।
২০১৯ সালে উত্তম আকাশ পরিচালিত 'প্রেম চোর' সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর তাকে দেখা যায় 'টুঙ্গীপাড়ার মিয়া ভাই' ও 'বিক্ষোভ' সিনেমায়।