ছাত্রলীগ নেত্রীদের রোকেয়া হল ছাড়তে বাধ্য করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা
চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও কোটা আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
গতকাল (১৬ জুলাই) রাত ১১টার পর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের সদস্যরা আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে হল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরা জানান।
ছাত্রলীগ নেত্রীদের অবরুদ্ধ করে মারধরও করা হয়েছে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন৷ পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সহযোগিতায় ১০ নেত্রীকে হল থেকে বের করে নেওয়া হয়েছে৷
এদিকে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা হলটিকে 'রাজনীতিমুক্ত' ঘোষণা করে একটি লিখিত বক্তব্য দিয়েছে। রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ নিলুফার পারভীন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বিবৃতিতে সাক্ষর করেন। স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, 'আমরা রোকেয়া হলের মেয়েরা আজ এই মর্মে লিখিত নিচ্ছি যে আজ থেকে রোকেয়া হলের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের ছাত্ররাজনীতি (ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত-শিবির) নিষিদ্ধ করা হলো৷ কোনো ধরনের পলিটিক্যাল রুম (রাজনৈতিক কক্ষ) বা গণরুম থাকবে না'
বিবৃতিতে আরো লেখা হয়েছে, 'রাজনৈতিক কর্মসূচি হলে হবে না৷ কোনো ধরনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা হলের সঙ্গে থাকবে না৷ আমরা হলের মেয়েরা যদি এসব দলের দ্বারা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই, তাহলে এর দায় প্রশাসন ও হল প্রাধ্যক্ষকে নিতে হবে৷ আজ থেকে রোকেয়া হলকে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করা হলো।'
ঘটনা চলাকালে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ নিলুফার পারভীন ও আবাসিক শিক্ষকেরা হলে উপস্থিত ছিলেন৷