কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা: ১৫ নতুন মামলায় পাঁচ জেলায় এক হাজারের বেশি গ্রেপ্তার
কোটাসংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় সহস্রাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসময়ে ১৫টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ, যেখানে প্রায় ১৪ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১০৩ জনকে গেপ্তার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গণসংযোগ কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ তারেক আজিজ এবং জেলার পুলিশ সুপার আবু তায়েব মোহাম্মদ আরিফ গ্রেপ্তারকৃতদের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে এসব অভিযান চালানো হয়।
এরমধ্যে একদিনে ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিএমপি, বাকি ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।
এছাড়া বন্দর নগরীতে গত ১৭ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত, ২৭ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৯৩ জনকে।
গতকাল রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত ৫০০-৭০০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'আরো মামলা করা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।'
এদিকে এ জেলার পাঁচটি থানায় নতুন করে ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতা শুরুর পর থেকে এপর্যন্ত জেলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ৩০০ জনকে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে কুমিল্লায় পুলিশের দুটি ও বিজিবির একটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। এই ঘটনায় তিনটি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫টি মামলা দায়ের করেছে। এতে প্রায় ৮ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৩৭ জনকে। বিষয়টি বুধবার নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।
কোটাসংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার অভিযোগে লক্ষ্মীপুরে গত তিন দিনে অন্তত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার জানান, পুলিশ একাধিক অভিযান করে বিভিন্ন স্থান থেকে আসামিদের আটক করছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা জানান, নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। নাশকতার ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
কক্সবাজার শহরে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সহিংসতার ঘটনায় কক্সবাজারে এপর্যন্ত পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই পাঁচ মামলায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এপর্যন্ত মোট ৩৯ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান তিনি।