কারাগারে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পেলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেপ্তার দুই শিক্ষার্থী
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই শিক্ষার্থী কারাগারে বসে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পেয়েছেন।
অনুমতি পাওয়া দুই শিক্ষার্থী মো. ফাহিম পারভেজ ও মো. জাহিদ হোসেন বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে আছেন। তাদের কারাগারে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর।
গত ৩১ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক অনুমতিপত্রে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনায় দুই পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র, প্রশ্নপত্র, হাজিরাপত্র সরবরাহ এবং কারা অভ্যন্তরে পরীক্ষা গ্রহণের কথা বলা হয়।
কারাগারে পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় পরীক্ষার্থীর অভিভাবককে বহন করতে হবে বলে অনুমতিপত্রে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিবেচনা করে কয়েক ধাপে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
আগামী ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর আগে চলমান পরিস্থিতিতে গত ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
পরবর্তীতে ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সূচি অনুযায়ী যত পরীক্ষা ছিল তা সব স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আদেশের পর ৪ আগস্টের পরীক্ষাও স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে পরীক্ষার্থীদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত বাকি পরীক্ষাগুলোতে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি কলেজগুলোর ২০২৪ ব্যাচ-এর 'শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঠানো' বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এসব কলেজের মধ্যে রয়েছে নটর ডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, বিএএফ শাহীন কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজসহ আরও বেশ কয়েকটি।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত না সকল অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারকৃত এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও অন্যান্যদের মুক্তি দেওয়া হয়, তারা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নটরডেম কলেজের একজন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'অনেক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আমরা সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের মুক্তি না দেওয়া হলে আমরা পরীক্ষায় বসব না।'