ফাঁকা রাজধানী, সতর্ক অবস্থানে প্রশাসন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের কারফিউ চলছে। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা কারফিউ বর্জন করে আজ সোমবার (৫ আগস্ট) 'মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। তবে অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনের সকালে রাজধানীর অধিকাংশ সড়কগুলো এখন পর্যন্ত ফাঁকাই দেখা গেছে। নেই কোনো গণপরিবহণ, শুধু চলছে কিছু রিকশা ও সিএনজি।
গতকালের পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঢাকায়। সড়কে কোনো ট্রাফিক পুলিশের দেখা না মিললেও বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। কয়েকটি সড়কে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমন- সংসদভবন, টিভি ভবন, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সরকারি বাসভবন ও স্থাপনাগুলোতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা রয়েছেন সতর্ক অবস্থানে। এছাড়া পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন মোড়ে অবস্থানের পাশাপাশি নিয়মিত টহল অব্যাহত রেখেছেন।
জরুরি প্রয়োজন ব্যতিত ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। সাধারণ মানুষের চলাচল একেবারে নেই বললেই চলে। যদিও আন্দোলনকারীরা সকাল ১১ টায় তাদের কর্মসূচি নির্ধারণ করেছেন।
ঢাকার সবগুলো প্রবেশপথে ব্যাপক সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কারফিউর আওতামুক্ত জরুরি সেবার যান ব্যতিত কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে গাবতলী-সাভার রোডের আমিন বাজার ব্রিজ।
রাজধানী বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, অল্প কিছু সাধারণ মানুষ চলাফেরা করছেন। রামপুরা ব্রিজের ওপর সেনাবাহিনী অবস্থান করছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হ্যান্ড মাইকে বারবার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে মানুষকে রাস্তায় না নামতে। যৌক্তিক কারণ বলতে না পারলে রাস্তায় চলতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে।
একই পরিস্থিতি দেখা গেছে রাজধানীর বাসাবো এলাকায়ও। সেখানে সবুজবাগ থানার একটি গাড়ি মাইকিং করে দোকানপাট বন্ধ রাখতে ও মানুষকে বাসায় অবস্থান করার অনুরোধ জানিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীসহ দেশের সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করা কারফিউ চলছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ কারফিউ বলবৎ থাকবে বলে জানায় সরকার।
এছাড়া, উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলাতে সরকারের ঘোষণা করা তিনদিনের সাধারণ ছুটি শুরু হয়েছে। এই সময় সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।