গ্রেপ্তার সব আন্দোলনকারীকে মুক্তি দেওয়া হবে, হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে: রাষ্ট্রপতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটক ও গ্রেপ্তার সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
এর আগে বঙ্গভবনে তিন সামরিক বাহিনীর প্রধান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিক ও প্রতিবাদ সমন্বয়কারীদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় কোটা বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গ্রহীত হয় এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করা হয়।
ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং আহতদের সুচিকিৎসার প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শিগগিরই সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের অর্থনীতি, প্রশাসন, শিল্প কলকারখানা চালু রাখার লক্ষ্যে সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করতে এবং লুটতরাজ, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করছি।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী দল (বিএনপি)'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস, জাতীয় পার্টির জি এম কাদের, মজিবুল হক চুন্নু ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, হেফাজত ইসলামের মামুনুল হক, মুফতি মনির কাসেমী ও মাহাবুবুর রহমান, জামায়াতে ইসলামের ড. শফিকুর রহমান ও শেখ মো. মাসুদ, মেজর জেনারেল ফজলে রাব্বি (অব.), জাকের পার্টির শামিম হায়দার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ, গণসংহতি আন্দোলনের জুনায়েদ সাকী, গণ-অধিকার পরিষদের অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, ফিরোজ আহমদ এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন, আরিফ তালুকদার, ওমর ফারুক ও মোবাশ্বেরা করিম মিমি এবং ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিছুর রহমান।